Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

তিতুমীর কলেজে ছাত্রলীগ পরিচয়ে বেপরোয়া বখাটেরা

জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০২:০০ পিএম


তিতুমীর কলেজে ছাত্রলীগ পরিচয়ে বেপরোয়া বখাটেরা

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান সরকারি তিতুমীর কলেজ। মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। অতীতে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনগুলোর বেপরোয়া হয়ে ওঠার নজীর থাকলেও গতকয়েক বছরে তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। বিশেষ করে বর্তমান তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি (রিপন-জুয়েল) ছাত্রলীগে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর হয়েছে। তবে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের এই গৌরবময় অর্জনেও কালিমা লেপন করছে কিছু ছাত্রলীগ নামধারী বখাটেরা। সম্প্রতি বেশ কিছু আলোচিত ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের নাম।

গত ২৭ নভেম্বর ছাত্রলীগ পরিচয়ে দৈনিক অধিকারের সাংবাদিক মামুন সোহাগের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সাদেকুর রহমান রিজেন ছাত্রলীগের পরিচয় দিলেও শুরুতে ছাত্রলীগ তা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে সেই সাদেকুর রহমান রিজেন বনানী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনোনীত হন। 

গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিতুমীর কলেজের সামনে বখাটে কর্তৃক এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠলে সেখানেও জড়িয়ে যায় ছাত্রলীগের নাম। খোঁজ নিয়ে অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়া যায়। 

এ সব বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে যদি কেউ কোনো অপকর্ম করে থাকে তাহলে এর দায় ছাত্রলীগ নিবে কেন? ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হওয়ায় ক্যাম্পাসের অনেকেই আমার সাথে ছবি তুলে তার মানে এই না যে তারা ছাত্রলীগের কর্মী। এরপরেও অভিযুক্ত কেউ যদি ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।’

ছাত্রলীগ না করেও যদি কেউ ছাত্রলীগ পরিচয়ে কোনো অপকর্ম করে থাকে তাহলে ছাত্রলীগের অবস্থান কি হবে? এমন প্রশ্নে রিপন মিয়া বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো’। করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কলেজে ছাত্রলীগের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই বলেও জানান ছাত্রলীগ সভাপতি। 

এ সব বিষয়ে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কলেজ সময়ের বাইরে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে যদি কেউ এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে তো আর আমাদের কিছু করার থাকে না। তারপরেও তিতুমীর কলেজের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এরকম কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলে বসে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার নেই।’

আমারসংবাদ/কেএস