Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম


প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

শিক্ষকরাই আলোকিত মানুষ এবং শিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণের কারিগর উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের আর সারা জীবন একই পদে চাকরি করতে হবে না, তাদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা পিটিআইয়ে ঢাকা জেলার নতুন নিয়োগ দেয়া ২০৯ শিক্ষকদের দুইদিনব্যাপী ওরিন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির কার্যক্রম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১ এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩ গ্রেডে উন্নিত করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানবসম্পদই পারে উন্নত ও সমৃদ্ধ  জাতি গঠন করতে। আর সুশিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার কারিগর হলো শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সরকার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদোন্নতিসহ উন্নত বেতন স্কেল দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকা শক্তি আজকের শিশুরা। তাদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের ভূমিকা হবে নিজ সন্তানের মতো।

বর্তমান সরকার শিক্ষার সংস্কার, সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়নে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, নবনিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য চাকরির শুরুতে ইনডাকশন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরিকালীন দায়িত্ব এবং পাঠদান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হচ্ছে। মার্কার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ, উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন এবং প্রশ্নপত্র কিভাবে প্রণয়ন করতে হয় সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চলমান আছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। গণিত অলিম্পিয়ার্ড কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই শীর্ষক প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শিক্ষকদের ব্রিটিশ কাউন্সিলে বিদেশি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ারোধ ও পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে  উপবৃত্তি প্রদান ও স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাউর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সোহেল আহমেদ ও ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আলীয়া ফেরদৌসী (শিক্ষা) বক্তব্য দেন।

আমারসংবাদ/জেআই