Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

বেরোবি ভিসি কলিমউল্লাহ দেখা না দেয়ায় প্রতিবাদ

বেরোবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ১১:২০ এএম


বেরোবি ভিসি কলিমউল্লাহ দেখা না দেয়ায় প্রতিবাদ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দেখা না দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। 

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সংগঠনটির আহবায়ক মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। 

প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের পক্ষে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে চাওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বহুবার উপাচার্যের দপ্তরে তার পিএসকে জানানো হয়েছে। আমাদের জানামতে তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে আর বসেননি। 

আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে গত ১৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) ছুটির দিন তিনি ক্যাম্পাসে তার বাসভবনে এসেছেন। খবর পেয়েই উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে মুঠোফোনে জানানো হয় অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যরা তার সাথে দেখা করতে চান। বিষয়টি যেন উপাচার্যকে জানানো হয়। 

এরপরই অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যগণ সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্পাসে জমায়েত হতে থাকেন। পরে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে গেলে উপাচার্যের পিএস জানান উপাচার্য বাসার বাইরে আছেন, আবারও বাসায় আসবেন। 

উপাচার্য আবারও আসবেন এই ভরসায় অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যগণ সারাদিন অপেক্ষা করলেও উপাচার্য আর আসেননি, উপাচার্যের পিএসও আর জানাননি উপাচার্যের অবস্থান সম্পর্কে। একজন উপাচার্য নৈতিকতার বিচারে চরমভাবে পরাজিত হলেই কেবল সহকর্মীদের সাথে দেখা না করে পলায়নপ্রবৃত্তি নিয়ে সটকে পড়তে পারেন। 

প্রতিবাদে আরো বলা হয়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাসের পর মাস অনুপস্থিত আছেন। অথচ তার নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে। 

শুধু তাই নয় করোনাকালে সরকারের পক্ষে আলাদা প্রজ্ঞাপনও আছে কর্মকর্তাদের ক্যাম্পাসের কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকার। উপাচার্যের ধারাবাহিক অনুপস্থিথি এবং ঢাকার লিঁয়াজো অফিসে বসে তার ধারাবাহিক অপকর্ম বন্ধ করার দাবি জানানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যদের সারাদিন বসিয়ে রাখার মত ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 
 
প্রসঙ্গত, গত এক বছরের বেশি সময় ক্যাম্পাসে আসেনি ভিসি কলিমউল্লাহ। শুক্রবার (১৫.০১.২০২১ইং) সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। তবে মূল প্রবেশ পথ ব্যবহার না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন। 

বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। বাসভবন ঘেরাও করে সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থান করেও তার সাক্ষাৎ পাননি বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

তাদের অভিযোগ, ভিসি তাদের আসার খবর পেয়ে বাসভবনের পেছনের দরজা দিয়ে লুকিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

আমারসংবাদ/এআই