Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

মানুষ খাবে তো দুরের কথা, ছাগলেও খাচ্ছে না

জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ০৪:৩০ এএম


মানুষ খাবে তো দুরের কথা, ছাগলেও খাচ্ছে না

বাতাসের হিমেল হাওয়া আর শিশিরে ভেজা লতাপাতা জানান দেয় প্রকৃতিতে শীতের আগমন হয়েছে। শীত আসার সাথে সাথে নিয়ে আসে নতুন নতুন সবজি আর পিঠাপুলির উৎসব। তবে শীতের আসল তারকা কিন্তু সবজি। স্বাদে-গন্ধে-রূপে শীতের সবজির কোনো জুড়ি নেই। বাংলার কৃষকরাও তাই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে শীতের সবজিতে তাদের সাফল্যের রং দেখার জন্য।

রাজধানীর বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত শ্যামবাজারের কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালটা শুরু হয় সবজি বিক্রেতাদের হাঁকডাকের মধ্য দিয়ে। বাজারে আসতে শুরু করে হরেক রকমের সবজি।

সাভার, বিক্রমপুর থেকে শুরু করে দূর-দূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে শ্যামবাজারে হাজির হন সবজি চাষীরা। লাউ, কুমড়া, নানা রকমের শাক,ফুলকপি, বাঁধাকপি কী পাওয়া যায় না এখানে। শীতের এই তারকাকে ঘিরেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড়ে জমে ওঠে এই শ্যামবাজার।

 তবে এবছরের শ্যামবাজারের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। শীতের তারকার বাজারের রং যেন কিছুটা ফিকে পড়ে গেছে এই শীতে। পর্যাপ্ত সবজির মজুদ থাকলেও কৃষকরা পাচ্ছেন না প্রত্যাশিত মূল্য।

শ্যামবাজারে আগত চাষীদের দাবি, খুচরা বাজারে অধিকমূল্যে বিক্রি হলেও, তাদের কাছ থেকে সবজি কেনা হচ্ছে অনেক কম টাকায়। যেখানে তাদের একটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০-১২ টাকায়, সেখানে তাদের বাজারে আনতেই খরচ পড়ছে  ১২ টাকা। যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষীরা।

চাষীরা বলছেন সবজি বেশী কিন্তু ক্রেতা কম হওয়ার কারনেই ব্যবসায় ভাটা পড়ছে তাদের।

প্রতি শীতেই সবজির ব্যবসা করেন নুরুল হক। এ বছরের শীতেও তাই শুরু করেছিলেন সবজি চাষ। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এখন মাথায় হাত পরেছে এই সবজি চাষীর। 

এ বিষয়ে নুরুল হক বলেন, এবারের শীতের শুরু থেকেই ক্রেতা কম।  মানুষ খাবে তো দুরের কথা, এখন ছাগলেও খাচ্ছে না।

এমন অবস্থা থাকলে পরের বছর চাষীরা সবজি চাষ করবেন কীনা ,সেটাও এখন তাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এতো ফলনের পরেও চাষীদের ক্ষতির পাল্লা ভারী হওয়ায় হতাশাতেই দিন কাটছে সবজি চাষীদের। তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য যেন তারা পায় সরকারের কাছে এইটুকুই দাবি এসব সবজি চাষিদের।

আমারসংবাদ/এডি