আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ০৬:০৫ এএম
ঘড়ির এলার্মে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে তড়িঘড়ি করে অফিসে যাওয়া। সারাদিন অফিসের কাজের ব্যস্ততা। এরপর দিনশেষে সারাদিনের হিসাব-নিকাশ। কোন কাজগুলো করা হয়েছে , বাকি রয়ে গেল কোন কাজ গুলো। সব মিলিয়ে একঘেয়েমি হয়ে যায় জীবন। মাঝে মাঝে মনেই হয়, থাক না। আজ কিছুই করবো না, কোথাও যাব না। সারাটা দিন নিতান্ত কর্মহীনতাই কাটাবো। আপনার যদি এমন মনে হয়ে থাকে তাহলে জানেন কী আজকের দিনটিই আপনার জীবনের সেই দিন।
আজ ১৬ জানুয়ারি নাথিং ডে অর্থাৎ ‘কিছু না’ দিবস। পৃথিবীতে এমনও দিবস আছে কী না শুনে অবাক হলেও, ১৯৭৩ সালে এই অদ্ভুত দিনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমেরিকান কলাম লেখক হ্যারল্ড কফিন এই দিবসটির প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন। হ্যারল্ডের ‘নাথিং অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংগঠনও ছিল।
কিছু না করার এ ধারণা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করার জন্যই ‘নাথিং অর্গানাইজেশন’ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এই সংগঠনটির ক্ষেত্রে " যেমন নাম, তেমন কাজ" কথাটি যেন একেবারে মিলে যায়। কারণ ‘নাথিং অর্গানাইজেশন’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কোনো কাজ করা তো দূরের কথা, এই প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত একটি মিঠিং ও হয়নি।
এই দিনটি উৎযাপনের জন্য একবারেই কোনো প্রচেষ্টা ব্যয় করা হয় না। এই দিবসটি পুরোটাই জীবনকে উপভোগ করার। তবে দিনটি কীভাবে উদযাপন করা হবে, তার একমাত্র সীমাবদ্ধতা হলো অংশগ্রহণকারীদের কল্পনা এবং ব্যাংক ব্যালেন্স।
এছাড়াও সত্যিই কী কিছুই না থেকে কিছু হতে পারে কী না দার্শনিক স্তরে এমন কিছু আকর্ষণীয় প্রশ্নও উত্থাপন করে এই দিনটি।
আমারসংবাদ/এডি