বিদায়বেলায় ইরানের উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ছাড়তে হবে হোয়াইট হাউস। তারপরও একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তেজনা আর আশঙ্কায় রাখছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পর থেকেই দেশটির পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই হামলায় উস্কানি দেওয়ায় বেশ সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। ক্ষমতা ছাড়ার আগে বিতর্কিত সব ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। 

বিদায় নেয়ার আগমুহূর্তে এবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটির দুটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এই প্রতিষ্ঠান দুটি ইরানের অর্থনীতির বৃহৎ অংশের নিয়ন্ত্রণ করে।

নিষেধাজ্ঞায় পরা ইরানের দুটি ফাউন্ডেশন দুটি হচ্ছে- ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনীর নির্দেশ বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং অন্যটি হচ্ছে আস্তান কুদস রাজাভি। ‘আস্তান কুদস রাজাভি’ শিয়া মুসলিমদের ৮ম ‘ইমাম’ ইমাম রেজার (আ.) মাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে।

নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ফাউন্ডেশন দুটির নেতা এবং তাদের সহযোগীদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং যারা এসব ফাউন্ডেশনের সঙ্গে লেনদেন করবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে ইরান আল কায়েদার নতুন ঘাঁটি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে তার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।

পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৫ সাল থেকেই তেহরানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্কের ব্যাপকভাবে উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সে বছরই ইরানে সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন। যার ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইউরেনিয়ামের মজুদ সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল ইরান।

আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শেষ দিন। ট্রাম্পের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকেও বিদায় নিবেন মাইক পম্পে। ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পম্পে। 

আমারসংবাদ/এমএ