Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

২০১ রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

মার্চ ৩, ২০১৫, ১১:০৭ এএম


২০১ রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা


শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় আইরিশরা। প্রথম ৫০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১০ রান। জয়ের জন্য আরো প্রয়োজন ছিল ২০২ রান।

কাইল অ্যাবট ও ডেল স্টেইনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতেই পেছনের পায়ে চলে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর অ্যান্ডি বালবারনি, কেভিন ও’ব্রায়ানরা পরাজয়ের ব্যবধানই কমান কেবল।

মঙ্গলবার ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৫ ওভারে ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্টেইন ও অ্যাবটের তোপে শুরুতেই দিক হারায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম পাঁচ ওভারেই বিদায় নেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জেতা দেশটি।

দলের সংগ্রহ পঞ্চাশ পার হওয়ার আগেই অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানো সহযোগী দেশটি দুইশ’ রান পার হয় বালবারনি ও কেভিনের দৃঢ়তায়।

ষষ্ঠ উইকেটে কেভিনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান বালবারনি (৫৮)। অর্ধশতকের কাছাকাছি যাওয়া কেভিনকে বিদায় করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার অ্যাবট। ২১ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার।

বড় সংগ্রহ গড়তে এবার আর তেমন কিছু করতে হয়নি এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। নিজের ইনিংস এবার বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। অবশ্য ভালো ভিত পেয়ে ঝড়ের গতিতেই শুরু করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।

অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ানের বলে রিভার্স সুইপ করে নায়াল ও’ব্রায়ানকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৯ বলের ইনিংসটি।

বিশ্বকাপে এর আগে চারশ’ রানের বড় স্কোর ছিল একটিই। ২০০৭ এর আসরে বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান করেছিল ভারত। এবার টানা দুই ম্যাচে চারশ’ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম দল হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার চারশ’ রানের সংগ্রহ গড়ায় সবচেয়ে বড় অবদান আমলা ও দু প্লেসির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৫ উইকেটে ৪০৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথেও ভালো অবদান রেখেছিলেন এই দুই জনে। সেই ম্যাচে ১২৭ রানের জুটি উপহার দিয়েছিলেন এই তারা।

এবার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ ২৪৭ রানের জুটি উপহার দেন আমলা ও দু প্লেসি। ৩৬.১ ওভার স্থায়ী জুটি গড়ার পথে শতকে পৌঁছান দুই ব্যাটসম্যানই।

চতুর্থ ওয়ানডে শতকে পৌঁছানোর পরপরই বিদায় নেন দু প্লেসি। ১০৯ বলে খেলা তার ১০৯ রানের চমৎকার ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও ১টি ছক্কায়।

মাত্র ১০ রানে এড জয়েসের হাতে জীবন পান আমলা। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি সবচেয়ে কম ইনিংসে ২০তম শতকে পৌঁছানোর কৃতিত্ব দেখানো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

১২৮ বলে খেলা আমলার ক্যারিয়ার সেরা ১৫৯ রানের ইনিংসটি ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কা সমৃদ্ধ। তার আগের সেরা ছিল অপরাজিত ১৫৩ রান। ৫২ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো আমলা নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান ১০০ বলে।

আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার ম্যাকব্রায়ান তিন বলের মধ্যে আমলা, ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দিলেও বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিটদের রানের গতিতে ভাটা পড়েনি।

অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৫১ বলে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিশাল সংগ্রহ এনে দেন রিলি রুশো ও ডেভিড মিলার। রুশো ৬১ ও মিলার ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের জুটির ৭০ রানই আসে চার-ছক্কা থেকে।