Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পাশে নেই ভারত, কেন?

নভেম্বর ২১, ২০২০, ১০:৫৫ এএম


রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পাশে নেই ভারত, কেন?

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে বিপুল ভোটে চতুর্থবারের মতো রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার লংঘন আর সহিংসতার শিকার নির্যাতিত মানুষের প্রতি জাতিসংঘের বিপুল সংখ্যক সদস্য অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়েছে এ প্রস্তাবে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রেজুলেশনটিতে মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়গুলো হলো - রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

রেজুলেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে যে অনুকরণীয় মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।

এই রেজুলেশন বাংলাদেশসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গঠনমূলক প্রক্রিয়া যুক্ত হয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারকে নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করবে আশা করা যাচ্ছে। রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেয় ১৩২টি দেশ। আঞ্চলিক ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা মেক্সিকো আর্জেন্টিনা নিউজিল্যান্ড সুইজারল্যান্ডসহ সমর্থন পায় প্রস্তাবটি। সমর্থন পায়নি রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ, '‘রাখি বন্ধনে’ সংযুক্ত, ‘আকাশচুম্বী’ সম্পর্কের উচ্চতায় সম্পর্কিত ভারতের। ভারত ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

কারণ এই প্রস্তাবে অংশগ্রহণ করার মত কোন প্রয়োজন ভারত উপলব্ধি করেনি। এক মিলিয়নের মতো বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান করছে, এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এটা জেনেও ভারত চরম সংকট এবং দুর্দিনেও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে মিয়ানমার কর্তৃক হুমকি সৃষ্টি হতে পারে এমন ইস্যুতে ভারতকে বাংলাদেশ পাশে পায়নি। মিয়ানমার প্রায়শই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেনাশক্তি মোতায়েনসহ বাংলাদেশের আকাশসীমায় সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে মহড়া প্রদর্শন করে। সেই মিয়ানমারকে ভারত সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম উপঢৌকন দিচ্ছে। এটাই হচ্ছে কথিত ‘আকাশচুম্বী বন্ধুত্বের’ ‘দৃশ্যমান’ নমুনা।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর পৈশাচিক বীভৎসতা এবং জঘন্য পাপাচারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ভারত ও চীন নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীন চিরবৈরী দুই দেশের ঐক্য বা সমঝোতার জায়গাটুকু চিহ্নিত করা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নেই খুবই জরুরি।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভারতের ‘নীরবতা’ এবং  চীনের ‘বিরোধিতা’ সংকটের সমাধানকে আরো প্রলম্বিত করবে, আন্তর্জাতিক সমঝোতার মাঝে বিভক্তিমূলক দেয়াল তুলবে এবং রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণভাবে দ্বন্দ্ব-সংঘাতপ্রবণ হয়ে পড়বে। এসব বিষয়ে আমাদের গভীর বিশ্লেষণ দরকার।

আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, ভূআঞ্চলিক রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব, কৌশলগত মিত্রতা এ সবকিছু নির্ভর করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রশ্নে মর্যাদাপূর্ণ সমঝোতার ওপর।

রোহিঙ্গা সংকটে যখন আন্তর্জাতিক মতৈক্য এবং সমর্থন বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি প্রয়োজন তখন ভারত যদি বাংলাদেশ প্রতি ‘প্রত্যাখ্যানের বাণ’ নিক্ষেপ করে সেটা মোটেই ‘সুসম্পর্কে’র পরিচায়ক নয়। ভারতের এ আচরণ এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে ইতিবাচক সমাধানের রাস্তা রুদ্ধ করে দিচ্ছে কিনা,ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মতাদর্শিক ক্ষেত্রে অবিরাম সমর্থনের সম্ভাবনা ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা তা আমাদের তলিয়ে দেখা দরকার।

প্রতিদিন যারা ভারতের সম্পর্কের গভীরতা বিশেষণে ভূষিত করতে মাতামাতি  করছেন, সম্পর্কের উচ্চতা প্রমাণ করতে ‘ক্ষুরধার তৎপরতা’ চালাচ্ছেন তারা এখন ভারত এবং চীনের ভূমিকা ‘দুঃখজনক’ বলার তাগিদটুকু পাচ্ছেন না। এটা জাতীয় স্বার্থের পরিচায়ক নয়।

ইরাক যুদ্ধের কারণে মিলিয়ন মিলিয়ন উদ্বাস্তুদের জায়গা দিয়েছিল সিরিয়া। এখন সিরিয়া পরাশক্তির রণক্ষেত্র, পরাশক্তির পাপ বইতে বইতে সিরিয়া এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। সিরিয়া  নামক রাষ্ট্রের কোন অগ্রাধিকার কোন পরাশক্তির কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না। সবাই মিলে তাকে রসাতলে নিয়ে গেছে। দেশটা প্রতিনিয়ত শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

আমরাও এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের অনেকের অভিনন্দন পেয়েছি। কিন্তু সমাধান যত দূরবর্তী হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ততবেশি সংকটগ্রস্ত হবে। আঞ্চলিক পরাশক্তির সমর্থন ছাড়া মিয়ানমারের মত রাষ্ট্রের পক্ষে এই ‘গণহত্যা’ সংঘটন ও নিজ দেশের নাগরিকদের ‘বাস্তুচ্যুত’ করে দেশ ছাড়া করার মতো নৃশংস পদক্ষেপ গ্রহণ কোনোক্রমে সম্ভব ছিলো না।

আমরা যে ভারতকে ‘রাখি বন্ধনের’ সম্পর্ক বলে আত্মতুষ্টি প্রকাশ করছি জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকে ভারত কি বন্ধুত্বের সর্বোচ্চ ‘উত্তম লক্ষণ’ প্রকাশ করেছে? গণহত্যাকারী  হিসেবে অভিযুক্ত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ১৩২ টি দেশ সমর্থন দেওয়ার পরও ভারত যদি ভোট দানে বিরত থেকে, মিয়ানমারকেই নিরবচ্ছিন্ন নৈতিক সমর্থন জানায় তাতে কি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ‘সর্বোচ্চ উচ্চতা’ নিশ্চিত হয়? ঘনিষ্ঠ ও মিত্র রাষ্ট্রের এ ধরনের ভূমিকা অগ্রহণযোগ্য এবং ঝুঁকিবহুল।

আমরা নিকট অতীতে দেখেছি কি করে মিথ্যা পটভূমি তৈরি করে ইরাক আক্রমণ করা হয়েছে। ইরাক ধ্বংস করে এখন অনিচ্ছা সত্বেও স্বীকার করে সেখানে ‘গণবিধ্বংসী’ অস্ত্র ছিল না। এই স্বীকার-অস্বীকারের মধ্য দিয়ে একটি রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল, কিন্তু পরাশক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে অক্ষতই থেকে গেল।

আঞ্চলিক রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি হুমকির সম্মুখীন হয় তখন কি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ আমাদের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হবে, না প্রতিপক্ষের সাথে শক্তি প্রয়োগ করার জোট গঠন করবে এসব বিষয় প্রতিমুহূর্তে বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রতিবেশীর সাথে অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, কিন্তু প্রতিবেশীও যে সাম্রাজ্য বিস্তারে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে ইতিহাসের শিক্ষাও আমাদের মনে রাখতে হবে। বিশ্বের সীমান্তসংলগ্ন রাষ্ট্রগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও প্রতিরোধ-প্রতিশোধের দীর্ঘ ইতিহাসও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

অত্র অঞ্চলে ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-চীন প্রতিবেশী দেশ সমূহের মাঝে কয়েকবার যুদ্ধ এবং এদের আন্তরাষ্ট্রীয় উত্তেজনা আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি। আজকে যে কৌশলগত বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে যে বিপজ্জনক হয়ে উঠবে না তার নিশ্চয়তা কি বিশ্ব ব্যবস্থায় আছে? দারুণভাবে শক্তিমান সামরিক শক্তি দ্বারা অন্য দেশকে আক্রমণ করার ঘটনা অতীতে কি ঘটে নি!

নিকট অতীতে আমরা দেখেছি কিভাবে শক্তিমানদের অভিযান  বা সামরিক দখলদারিত্ব বা সম্প্রসারণমূলক কর্মকা- একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ‘দিবাস্বপ্নের দৃশ্যপটের মত গুঁড়িয়ে দিয়েছে। একদিন ইরাক যুদ্ধ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘প্রয়োজনীয়’ ও ‘অতিব জরুরি’। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে আমরাও যে পরাশক্তির প্রয়োজনে মহড়ার কুরুক্ষেত্র হতে পারি, আমরাও যে ইরাকের মত কারো জন্য ‘প্রয়োজনীয়’ ও ‘অতিব জরুরি’ হয়ে উঠতে পারি, অপ্রত্যাশিত ঝুঁকিতে পড়তে পারি এসব প্রশ্ন কি আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের চিন্তায় বিরাজ করে? প্রতিবেশীর সাথে এসব 'উচ্চমাত্রা এজেন্ডা' নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি বা কোনো গবেষণা কি আছে?

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার প্রশ্নে, ভারত চীন রাশিয়া মিয়ানমারের অবস্থান কি হতে পারে এসব বিশ্লেষণ করে কি আমাদের ‘প্রতিরক্ষা নীতি’ মূল্যায়ন করা হচ্ছে? সামরিক মাত্রা বা আক্রান্ত হওয়ার পর্যায় বিবেচনা নিয়েই আমাদের অখন্ডতা রক্ষার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে আঞ্চলিক শক্তির নীল নকশাকে অতিক্রম করে।

আমরা যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সংহত করার স্বার্থে সাময়িক বন্ধুত্বকে চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের মুখোশে আবৃত করে ফেলি তাহলে জাতিকে একদিন চরম খেসারত দিতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক কোন শক্তি বা রাষ্ট্রকেই কাছে পায়নি। ভোটদান থেকে বিরত রয়েছে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, জাপান, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও লাওস। এটা যে বাংলাদেশের কত বড় কূটনৈতিক ব্যর্থতা তা বিশ্ববাসী বুঝলেও সরকারের উপলব্ধিতে কতটুকু প্রতিফলন ঘটবে তা আমাদের জানা নেই। কারণ সরকার সকল ‘ব্যর্থতা’কে ‘সফল’ হিসেবে দেখার  অকল্পনীয় শক্তি অর্জন করে ফেলেছে। ‘মর্যাদাপূর্ণ’ সম্পর্ক আর ‘মক্কেল’ হওয়ার সম্পর্ক, এ দুই সম্পর্কের পার্থক্যকে   দাম্ভিকতা পরিহার করে গভীরভাবে বুঝতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেউ ঘোলাজলে মাছ শিকার করে লাভবান হতে চায় কিনা সরকারকে এসব বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে।

কথিত ‘রক্তের বন্ধন’ ও ‘রাখি বন্ধনে’র সম্পর্কের সাথে চলমান বাস্তবতা অসামঞ্জস্যপূর্ণ, সাংঘর্ষিক ও বিরোধাতœক। প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ‘উচ্চমাত্রার বিশেষণ’ বিশ্বের আর কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বয়ানে শোনা যায়না। এসব ‘বিশেষণ’ দুই স্বাধীন রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ মর্যাদাকে সুরক্ষা দেয় না বরং কেবল আমাদের আত্মমর্যাদাকেই বিনষ্ট করে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর সংকটে ভারত পাশে না থাকা  আমাদের জন্য উচ্চমাত্রার ঝুঁকি-এইটুক আত্মোপলব্ধি থাকা দরকার। আমরা জানি না রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের সামনে কত কঠিন ও ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছে। এ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ করা জরুরি প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে আত্মসমর্পণের ঘোষণায় জাপানের সম্রাট তার জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘আমরা আমেরিকা এবং বৃটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম আমাদের আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে যে, এর মাধ্যমে জাপানের আত্মরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। তবে এটি আমাদের চিন্তার অতীত ছিল যে, এর দ্বারা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ও ভূখন্ডগত মর্যাদার উপর বাধানিষেধ নেমে আসবে।’

ভূআঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে চিন্তার অতীত আগ্রাসন ঘটবেনা এইটুকু প্রত্যাশা 'আত্মরক্ষা'র জন্য যথেষ্ট হবে কিনা এর উত্তর আমাদেরকেই খুঁজতে হবে।

আমারসংবাদ/জেডআই