Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪,

১৫০ রানের বিশাল জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫, ০৫:২৯ এএম


১৫০ রানের বিশাল জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 

 
পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের সামগ্রিক পারফরমেন্সের সুবাদে ১৫০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ক্যারিবীয়রা করেছিলো ৬ উইকেটে ৩১০ রান। আর প্রথম ১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান লজ্জার মধ্যে পড়ে যায়। সেই সাথে পড়ে মহা বিপদে। সেই বিপদ থেকে আর উদ্ধার পাওয়া হয়নি তাদের। হারের ব্যবধান কমাতে কমাতে ৩৯ ওভারে ১৬০ রান তুলে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

৩১১ রানের টার্গেট অবশ্যই বড় কিছু। আর দলের খাতায় ১ রান উঠতে না উঠতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে সেই রান তো পাহাড়ের মতো দেখায়। অলৌকিক কিছুর প্রত্যাশা করতে হয় সেই ম্যাচে জয় পেতে বা সম্মানের ইনিংস দাঁড় করাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলৌকিকতার দেখা পায় নি পাকিস্তান। হাচড়ে পাচড়ে হারের ব্যবধান তারা কমিয়েছে উমর আকমল ও শোয়েব মাকসুদের ফিফটিতে।  

পাকিস্তানের টপ অর্ডার ধ্বসিয়ে দিয়েছেন ক্যারিবীয় পেসার জেরোম টেলর। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ বলে নাসির জামসেদ ও ইউনিস খানকে তুলে নেন তিনি। পরের ওভারে ফিরেই আবার হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে দেন টেলর। অধিনায়ক হোল্ডার শিকার করেছেন শেহজাদকে। নাসির, ইউনিস ও সোহেল কোনো রান করতে পারেননি। ১ রান করেছেন শেহজাদ। অবিশ্বাস্যভাবে মুহূর্তেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিলো পাকিস্তান। এরপর অধিনায়ক মিসবাহকে (৭) তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল।

এই ৫ উইকেট ২৫ রানে হারানোর পর মাকসুদ ও উমরের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। কিন্তু মাকসুদ ৫০ রান করে ড্যারেন স্যামির শিকার হলেন। আফ্রিদি এসে উমরের সাথে জুটি বাধলেন। তাতে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ওঠে। কিন্তু রাসেলের জোড়া আঘাতে হারের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। উমরকে ৫৯ রানের বিদায় করে দেন রাসেল। কিছুক্ষণ পর ওয়াহাব রিয়াজকেও তুলে নেন। বেন এরপর আফ্রদিকে (২৮) তুলে নিলেন। আর কিছুই করার থাকেনি পাকিস্তানের।  

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেগলি ওভালের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ক্যারিবীয়ান ঝড় ক্রিস গেইলকে দলের ১৭ রানের সময় ফিরিয়ে দেন ইরফান। মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন গেইল। এরপর দলের ২৮ রানের সময় অন্য ওপেনার স্মিথ (২৩) ফিরে যান সোহেলের শিকার হয়ে।

এই জোড়া আঘাতের পর ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভো ও মারলন স্যামুয়েলস গড়ে তোলেন ৭৫ রানের জুটি। ঝুঁকি না নিয়ে সতর্কভাবে এগিয়েছেন তারা। ক্যারিবীয়দের খাতায় উঠতে থাকে রান। এই জুটিকে ভাঙ্গেন হারিস সোহেল। এই বাঁ হাতি স্পিনার ফিরিয়ে দেন স্যামুয়েলসকে (৩৮)। আঘাত পেয়ে কিছুক্ষণ পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান ব্রাভো (৪৯)। এরপর আবার নতুন জুটি গড়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই প্রয়োজন মেটাতে পেরেছেন দিনেশ রামদিন ও লেন্ডল সিমন্স।

 দুই ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দ্রুত রান তুলতে চেয়েছেন তারা। রামদিন ৫১ রান করে হারিসের শিকার হলেও সিমন্স থেকেছেন। ড্যারেন স্যামির সাথে ৬৫ রানের জুটি গড়েছেন সিমন্স পঞ্চম উইকেটে। শেষ কয়েক ওভারে ঝড় তুলেছেন রাসেল। মাত্র ১৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলে দলকে তিনশো পার করিয়েছেন রাসেল। আর সিমন্স ৫০ রান করে ফিরেছেন ইনিংসের শেষ বলে।