Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

নাম ব্যঙ্গ করা সম্পর্কে ইসলাম যা বলে (প্রথম পর্ব)

আমার সংবাদ ডেস্ক

ডিসেম্বর ৭, ২০২০, ১১:৩০ এএম


নাম ব্যঙ্গ করা সম্পর্কে ইসলাম যা বলে (প্রথম পর্ব)

মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকের চিরচেনা পরিচিত শব্দ হলো তার ‘নাম’। এমনকি মানুষ যখন মারা যায়, তখনো পৃথিবীর মানুষের মুখে রয়ে যায় তার নাম। মানুষের এ নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করা যাবে কি? এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করা মারাত্মক গোনাহ। একজন মানুষের কাছে একটি সুন্দর নাম হীরার চেয়েও দামি। কিন্তু এ নাম নিয়ে বর্তমান সমাজে প্রায়ই ব্যঙ্গ (ট্রল) করতে দেখা যায়।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ পরিচিত ও বন্ধু মহলে একে অন্যকে নাম বিকৃত করে ডাকে। নাম বিকৃতি তথা ব্যঙ্গ করার এ প্রবণতা দিন দিন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

ইসলামি শরিয়তে এভাবে মানুষের নামকে বিকৃত করে কিংবা অইমানমূলক ব্যঙ্গ করে ডাকা গোনাহের কাজ। আমরা অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায়, আড্ডা-কিংবা মজার ছলে আসর জমাতে গিয়েও অন্যকে বিকৃত নামে ডেকে কথা বলে, যা ইসলামে জঘন্য অন্যায় ও গর্হিত কাজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন—

‘হে ঈমানদারগণ! কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেনো উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবে না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবাহ না করে তারাই অত্যাচারী।’ (সূরা হুজরাত : আয়াত ১১)

সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত একে অপরকে সুন্দর নামে ডাকা এবং কারো নামকে বিকৃত করে কোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলা। অর্থাৎ ব্যঙ্গ ও তুচ্ছজ্ঞান করে এমন নামে না ডাকা অথবা এমন খেতাব বের না করা; যা সে অপছন্দ করে।

নাম বিকৃত করে অথবা মন্দ নাম বা খেতাবে ডাকা অথবা ইসলাম গ্রহণ বা তওবাহ করার পর তাকে অতিত ধর্ম বা পাপ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সম্বোধন করাও ব্যঙ্গ করার শামিল।
যেমন এভাবে ডাকা— এ কাফের! এই ইয়াহুদি! ও হিন্দু! ওই লম্পট! হে মাতাল! ইত্যাদি শব্দ কিংবা মন্দ সম্বোধন করে ডাকা মারাত্মক জঘন্য অন্যায় ও গর্হিত কাজ। চলবে...

আমারসংবাদ/এমআর