দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ আগস্ট) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং থাইল্যান্ডের পক্ষে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল নেতৃত্ব দেন। এসময় থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ মাইদুল ইসলাম প্রধান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগসমূহ উপস্থাপন করেন। এসময় বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, সাফল্যের সাথে কোভিড মোকাবিলা, কোভিড মহামারীতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ধরে রাখা সহ সরকারের অন্যান্য সাফল্যসমূহ তুলে ধরেন।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল কোভিড মহামারীতে বাংলাদেশ যেভাবে মোকাবিলা করে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে, অর্থনৈতিক সাফল্য ধরে রেখেছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট কোভিড মোকাবিলার বিষয়টি বিস্তারিত জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চলার পাশাপাশি নিজস্ব হেলথ প্রটোকল তৈরি করা, সফল টিকা কার্যক্রম ব্যাবস্থাপনা, টেলিমেডিসিন সেবা, স্বাস্থ্যবিধি মেইনটেইন করা, সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহনসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য উদ্যোগসমূহ তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক থাইল্যান্ডের চিকিৎসা সেবার গুণগত মানের প্রশংসা করেন এবং সেদেশের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগ সমুহ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। থাইল্যান্ডে মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে কি কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে বিষয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানতে চান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের আরো উন্নয়ন করতে থাইল্যান্ড সরকারের স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক সহোযোগিতা প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয় দেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্য, বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত নার্স, টেকনোলজিস্টসহ চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, যৌথ বিনিয়োগ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কৌশলসহ স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে থাইল্যান্ড সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
থাই সরকার প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বিষয়গুলি নিয়ে দ্রুতই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইএফ