বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকে হত্যা চেষ্টা মামলার ৪ আসামির জামিন আবেদন দ্বিতীয়বারের মত খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রধান আসামিকে হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়েছে কারাগারে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা মোশাররফ হোসেন।
হত্যা মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি ডা. এমএইচ উসমানী ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট সাংবাদিকে হত্যা চেষ্টা মামলায় চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড চলাকালীন প্রধান আসামি অসুস্থ বোধ করলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা শেষে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাকে সুস্থ ঘোষণা করে আদালতে পাঠান। পরে আদেশ শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী জানান, মঙ্গলবার আদালতে প্রধান আসামি ডা. উসমানীকে আনলে তার আইনজীবীরা তাকেসহ বাকি তিন আসামির জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকায় আসামিদের জামিন আবেদন খারিজ করেন আদালত। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত জামিন আবেদন না করার কথাও বলেন আদালত। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পেশাদারি দায়িদ্বপালনরত সাংবাদিকে ওপর হামলার বিষয়ে নিন্দাও জানান।
অন্যদিকে নিম্ন আদালতে জামিন না পেলেও উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদনের কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফিরোজুর রহমান।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক উসমানীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ম বহির্ভূত ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিএমডিসি জানিয়েছে, এভাবে ডিগ্রি ব্যবহার প্রতারণা, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাতিল হলে পারে নিবন্ধন, নিষিদ্ধ হতে পারেন চিকিৎসা পেশায়।
গত ৯ আগস্ট রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএমডিসির সনদ ছাড়াই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এমন খবর নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মিসবাহ’র ওপর হামলা চালায় ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় তার ক্যামেরাম্যান ও গাড়ি চালককে মারধর করে ক্যামেরা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ইএফ