তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ১০:০৮ এএম

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত ফারুক তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা মো. আয়ুবের ছেলে। 

রোববার (২ অক্টোবর) রাতে ঘুমঘুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে একই দিন সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি আবদুর রহিম জানান, রোববার (২ অক্টোবর) সকালে শূন্যরেখার বাসিন্দা ওমর ফারুক ও আবদু নামে দুই কিশোর সকালে মিয়ানমার সীমান্তের পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যান। 

এ সময় সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে মারা যান ওমর ফারুক। তবে এ ঘটনায় অপরজন প্রাণে বেঁচে যান। 

বেঁচে যাওয়া কিশোরের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওমর ফারুকের স্বজন ও অন্যরা মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর গোয়েন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ‘মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে গত ১৭ সেপ্টম্বর শূন্য রেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারশেলের আঘাতে মোহাম্মদ ইকবাল (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন। 

এর আগের দিন (১৬ সেপ্টেম্বর) তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে অন্য থাইন চাকমা নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন। এ ঘটনায় আরও ছয় জন আহত হন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বিস্ফোরণের পরে লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে দাফনও সম্পন্ন করেছে। আরও একজন রোহিঙ্গা যুবক আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। হতাহতরা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য।

টিএইচ