পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবন আদর্শ মুসলমানদের সামগ্রীক জীবনে প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর আশেক ও প্রেমিক হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আজ (রবিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে রাহমাতুল্লীল আলামীন কনফারেন্সে তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বসেরা মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর অনুসৃত পথ অবলম্বনের আহবান।
বাংলাদেশ আশিক্বীনে আউলিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব সাইয়্যেদ শাহ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডক্টর এম শমসের আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যেদ শাহ্ সূফী মুক্তাদির আল নূরী আল সুরেশ্বরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান, সাবেক শিক্ষা সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, বাংলা একাডেমীর পরিচালক মুফতি ডক্টর মোঃ হারুন অর রশিদ, ওয়ার্ল্ডওয়াইড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর এমদাদুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তবে এম শমসের আলী বলেন মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক নয়, তারা সাম্প্রদায়িক হতে পারেননা।
তিনি বলেন কোরআন হলো পুরো মানবজাতির হেদায়েতের পুস্তক আর রাসূল (সা ) সারা বিশ্বের রহমত।
সভাপতির বক্তব্যে সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব সাইয়্যেদ শাহ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরী বলেন, "নবীর প্রতি প্রেম, মোহাব্বত ও ভালোবাসাই প্রকৃত ঈমান। নবীর প্রেমিক যারা তারাই প্রকৃত মুসলমান।"
তিনি বলেন, কোনো কোনো আলেম ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনে অনীহা পালন করে থাকেন এবং নবীজী ও সাহাবাদের যুগে ঈদে মিলাদুন্নবীর অস্তিত্ব ছিলনা বলে দাবি করেন- এটা সঠিক নয়। বরং খোদ হযরত মোহাম্মদ (সা.) রোজা পালনের মাধ্যমে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন।
যেভাবে শ্রীকৃঞ্চের জন্মদিন (জন্মাষ্টমী) এবং ঈসা (আঃ) এর জন্মদিন (বড়দিন) গনমাধ্যমে গুরুত্ব পায়- এর চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপকভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের জন্য মিডিয়ার প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে যে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন হচ্ছে- এটি আহলে আল সুন্নাত ও বাংলাদেশ আশিক্বীনে আউলিয়া পরিষদের আন্দোলনের ফসল।
অনুষ্ঠান শেষে সুরেশ্বর দরবার শরীফের সাইয়্যেদ শাহ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরীর নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বিশাল জশনে জুলুস (র্যালী) বের হয়। জশনে জুলুস গোলাপ শাহ মাজার হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে যায়। সেখান থেকে একটি গাড়ীর বহর নিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
দরবার শরীফে পৌঁছে মিলাদ, কিয়াম, মোনাজাত ও তাবারক বিতরনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
ইএফ