সমস্ত ব্যয়ভার মনে হচ্ছে আমরাই বহন করছি

পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ হলেও আমাদের কেন দুর্ভিক্ষ হবে: সলিমুল্লাহ খান

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৬:০১ পিএম

প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাবধান বাণী উচ্চারণ করে বলেছেন আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। 

তিনি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের সমস্ত ব্যয়ভার মনে হচ্ছে আমরাই বহন করছি। অতএব আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ অর্থাৎ সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ হলেও আমাদের কেন দুর্ভিক্ষ হবে? আমরা তো খাদ্য রপ্তানি করবো না, আমদানি করতে হবে এই প্রসঙ্গগুলো তোলা দরকার মওলানা ভাসানী এগুলো তুলে ধরতেন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা এভাবে মূল্যায়ন করেন তাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সৈয়দ আবুল মকসুদ স্মৃতি সংসদ। 

‘বাংলাদেশে চলমান ইতিহাসচর্চার সংকট ও সৈয়দ আবুল মকসুদ–এর সাধনা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন।

আলোচনার শুরুতে আবুল মকসুদের লেখা জলাতঙ্ক নামের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন আলমগীর হোসেন শান্ত। এ ছাড়া আবুল মকসুদের গবেষণা ও বই নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক আলোচনা করেন তার ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইমরান মাহফুজ।

সলিমুল্লাহ খান তার আলোচনায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের গবেষণামূলক বইয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। 

তিনি বলেন, ব্রিটিশ ভারত থেকে পাকিস্তান আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত এই বিশাল সময়জুড়ে ভাসানী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আবুল মকসুদ সাংবাদিক হিসেবে ভাসানীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এরপর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, ১৮৯৩ সালে বাংলাদেশে দুর্ভীক্ষ হয়েছিলো তখন বৃটিশ আমল এমন যায় নাই যে ১০ বছরের মধ্যে দুর্ভিক্ষ হতো না।  তিনি আরো বলেন, আমার মনে পড়ে এখন ড. বিনায়েদ খান আছেন, ড. জিল্লুর রহমান ছিলেন তারা বলতেন বাংলাদেশে আর কোন দুর্ভিক্ষ হবে না, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়েছি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। অনুষ্ঠানে কাজল রশীদ ও দেশের বিশিষ্ট লেখক, কবি ও গবেষকেরা অংশ নেন।

টিএইচ