কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার পথে কোটি টাকার ভয়ঙ্কর কোকেন জব্দ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২, ০২:৫০ পিএম

সারা বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান ও ভয়ঙ্কর অবৈধ মাদকের নাম কোকেন।  রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা দামের কোকেন জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে মাদক চোরাচালান চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ শাখা। ওইসব কোকেন কাতারে অনুষ্ঠিত্ব ফুটবল বিশ্বকাপে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই কাতারে পাঠানোর আগেই ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও এক কোটি টাকা মূল্যের কোকেন জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়াস্থ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ শাখার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মিন্টু কর্মকর্তার (৩৪), এজাহার মিয়া (৩৮), মো. নাজিম উদ্দীন ওরফে মুন্না (৪০), মো. নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ মামুন (২৭)। তবে ওই চক্রের আরেক সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) পলাতক রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান, আসামিরা সমুদ্রপথে কোটি টাকার কোকেন বাংলাদেশে নিয়ে আসছে; এমন সংবাদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আসে। পরে ক্রেতা সেজে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই চক্রের সন্ধানে কাজ শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারের বেপারী পাড়া রোড থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম কোকেন, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। ২৫০ গ্রাম কোকেনের দাম এক কোটি টাকা বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে বলে, কক্সবাজারে গাড়ি চালক পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর আলম গভীর সমুদ্রের একটি ট্রলার থেকে ওই মাদক সংগ্রহ করে। ভয়ঙ্কর মাদক কোকেনগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পাঠানোর চেষ্টা করছিল তারা। এই লক্ষ্যে তারা বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলে তারা। ওই চক্রের সদস্যরা ইতোপূর্বে ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু অতি লোভের বশে অতিমূল্যেও এই মাদক চোরাচালানের সাথে যুক্ত হয়েছে তারা। তবে তার কাছ থেকে আরো তথ্য উদ্ধারের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল।

এবি