বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট: রাশিয়া

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:২৪ পিএম

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ঢাকায় মুখোমুখি দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। এ বিষয়ে দেশ দুটির ঢাকা দূতাবাস দিয়েছে বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত ২২ ডিসেম্বর মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ব্রিফিংয়ের বিবরণীতে ‌‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা’ শীর্ষক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৩ সালে নিখোঁজ বিরোধীদলীয় এক রাজনৈতিক কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর একটি সংগঠনের হুমকির মুখে পড়েছিলেন। একজন মার্কিন কূটনীতিক যখন বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকারের বিষয়ে যত্নবান হওয়ার কথা বলে দেশটির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলো প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন তখন এমন ফলাফলই প্রত্যাশিত।’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‌‘আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মৌলিক নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন পদক্ষেপগুলো অগ্রহণযোগ্য। ’ তিনি বলেন, "যদি কেউ প্রশ্ন করতে চান- ‘কূটনীতিক, দায়মুক্তি, দূতাবাস, নিরাপত্তা’ শব্দগুলো কেমন হবে? আমরা সব সময় আন্তর্জাতিক আইন এবং কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে এই বিষয়গুলো দেখার আহ্বান জানাই। এগুলোই মৌলিক নীতি। ’

মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্য দেশগুলোকে শুধু তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই যত্নবান এবং মন্তব্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোসহ দেশগুলোর সহকর্মী এবং তাদের প্রতিনিধিরা যখন তাদের দূতাবাসের নিরাপত্তা ও কনস্যুলার সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে, তখন তাদের সমর্থন করার আহ্বান জানাই। ’

গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো রাষ্ট্রে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় জাতিসংঘের ঘোষণায় এটি অগ্রহণযোগ্য।

টিএইচ