দেশের গণতন্ত্র না থাকলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা যদি চর্চা করা যায় তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকে।
বোরবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা একে একে আমাদের স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্র; যেটা আমাদের মূল চেতনা, যেটা ১৯৭২ সালে রচনা করেছিল সেই সংবিধানের মূল কথা হচ্ছে গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পত্রিকা ব্যতীত সমস্ত পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকলে হবে না সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রিয়াজউদ্দিন আহমেদ সারা জীবন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে কীভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায় সেই সংগ্রাম তিনি করে গেছেন।
তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীদেরকে গুম করেছেন। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীদের বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন। আমাদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য এক লক্ষের উপরে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩৭ লাখ নেতা-কর্মীদের মামলার আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে; এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে স্বাভাবিকভাবে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিদায় করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা যে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এই সরকারের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে ধ্বংস করে দিয়েছে সেটা থেকে কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করা যাবে সেজন্য ২৭ দফা ঘোষণা প্রস্তাবনা সেটা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি।
ডিইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা- শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আব্দুল হাই সিকদার, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
টিএইচ