শিকদার গ্রুপের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর অভিযোগ করেছেন জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি কে বাবুল আহমেদ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভিযোগ জমাসহ দুনীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত ৬ মার্চ আরও একটি আবেদন জমা পড়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদারের দুই সন্তানের নজিরবিহীন অন্যায়, অবিচার ও লুটপাটের কারণে ন্যাশনাল ব্যাংক ও পাওয়ার প্লান্ট এখন দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে। এই ব্যাংক সব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের শিকদার পরিবার একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। এদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেই শিকদার পরিবারের দুই পুত্র পাওয়ার প্লান্ট ও ব্যাংকের টাকা লুট করে থাইল্যান্ড এবং দুবাইতে বিনিয়োগের নামে আলিশান বাড়ি ও ফ্লাট কিনে। চিত্র বিনোদনের জন্য রিসোর্ট বানিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এরা শুধু ব্যাংক থেকেই নয়, শিকদার পরিবার পাওয়ার প্লান্টের নামে হরিলুট করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে শতকোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে। এরা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের অপব্যবহারসহ নানা ধরনের জালিয়াতি করেছে, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।
‘কিছুদিন আগে এক ব্যাংকের ডিএমডি-কে গুলি করে আত্মগোপনে কদিন থেকে জামিন নিয়ে পুনরায় বিতর্কিত ও বেনামীয় প্রতিষ্ঠানের নামে লোন পাশ করিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে চলেছে। সম্প্রতি ভয়ঙ্কর এক ব্যাংক লুটেরাজ আলী হায়দার রতন, যে একাধিক কোম্পানি সাজিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে। এই রতন বিভিন্ন ব্যাংকের ব্ল্যাক লিস্টের তালিকায় রয়েছে। সেই রতনকে কীভাবে শতকোটি টাকা লোন দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক? যার একটি অংশ তেইশ কোটি টাকা কদিন আগে রাত আটটার পর ব্যাংক থেকে উত্তোলনের ঘটনায় শুধু ব্যাংক পাড়াতেই নয় সারা দেশসহ মিডিয়া পাড়াতেও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার পেছনে রয়েছে রতন ও শিকদারপুত্র রণ হক এবং রিক হক শিকদার।’
এ বিষয়ে জানতে তাদের শিকদারপুত্র রণ হকের মুঠোফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া রিক হককে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি।