‘ঢাকা শহরে অনিবন্ধিত অবৈধ রিক্সা চলতে দেয়া হবে না’

বাসস প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম

ঢাকা শহরে অনিবন্ধিত, অবৈধ রিক্সা আর চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২ আগস্ট) ধানমন্ডি ২/এ এলাকায় রিক্সা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এ সব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধিত রিক্সা ছাড়া আমরা অন্যান্য সকল রিক্সাকে অবৈধ ঘোষণা করেছি। তাই অবৈধ রিক্সা, ব্যাটারি চালিত হোক কিংবা অনিবন্ধনকৃত পায়ে চালিত রিক্সা হোক, এগুলো ঢাকা শহরে চলতে পারবে না। এই কার্যক্রম একদিনে করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। রিক্সা মালিক সমিতিও রাজি হয়েছে যে, নিবন্ধিত রিক্সা ছাড়া ঢাকা শহরে তারা আর কোনো রিক্সা পরিচালনা করবেন না।"

রিক্সা মালিক সমিতিই নিবন্ধিত রিক্সা ছাড়া অন্যান্য রিক্সা পরিচালনা বন্ধ করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এরই মাঝে রিক্সা নিবন্ধন করেছি। আরও রিক্সা নিবন্ধন করা হবে। রিকশা মালিক সমিতি রাজি হয়েছেন, এখন থেকে নির্ধারিত স্থান থেকেই তারা রিক্সা সেবা পরিচালনা করবেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক নম্বর-২ এর ভেতরে ১০টি রিক্সা রাখার স্থান আমরা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। জায়গাটা রং দিয়ে, স্ট্যান্ড দিয়ে সুন্দর একটি পরিবেশ  করে দেয়া হবে এবং তারাই এটা পরিচালনা করবে।

যান চলাচল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে রিক্সা অত্যন্ত কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ একটি বাহন। যা দিয়ে এখনো ঢাকা শহরে প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ যাতায়াত করে। নির্ধারিত জায়গা থেকে যাত্রীরা রিক্সায় ওঠবে এবং নির্ধারিত জায়গায় আবার নেমে যাবে। সে প্রেক্ষিতে সাত মসজিদ সড়ক, ধানমন্ডির পশ্চিম প্রান্তের ঝিগাতলা, হাজারীবাগে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সেটিকে আরও সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য নির্ধারিত স্থানে রিক্সা রাখার স্থান তথা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বড় বড় বহুতল যে ভবনগুলো রয়েছে, তাদের নির্ধারিত গাড়ি পার্কিংয়ের বাইরেও তারা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি রাখে। এটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এর বিরুদ্ধেও অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ সময় ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করলে এডিস মশা পুরোটা বিলুপ্ত হবে, এ ধরনের কোনো সমাধান নেই। এর উৎস নিধনে সফল এবং আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ  করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও কাজী বোরহান উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এআরএস