ব্রিকস-এ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, ঢাকা পরবর্তী ধাপে এই উন্নয়নশীল অর্থনীতির ব্লকে অন্তর্ভুক্ত হতে আশাবাদী। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি প্রথম ধাপ এবং পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদী। এরই মধ্যে আমরা কিছুটা সময়ও পেয়েছি।
সচিব বলেন, বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) একটি অংশ হিসেবে রয়ে গেছে যখন এনডিবি গত ১৫ বছরে ব্রিকসের একমাত্র বাস্তব ফলাফল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক ইস্যু আছে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক এবং ভারসাম্য রক্ষার (ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত করা) বিষয় রয়েছে।‘ তিনি বলেন, ভৌগোলিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা ছিল এবং আরও আগ্রহী দেশ ছিল। কিন্তু তারাও (ব্রিকস) সদস্যপদ পায়নি।
ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর এবং ইথিওপিয়া ছিল সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত ছয়টি দেশ।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসার মধ্যে জোহানেসবার্গে শীর্ষ সম্মেলনে দুই দিনের আলোচনার পরে এই ঘোষণা আসে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।
এই ব্লকটি মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীনের সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এতে যোগ দেয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ এ বছর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়, প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে। আমরা ৩ হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে পরিবারগুলো যেন বিচ্ছিন্ন না হয়।
মোমেন বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসবে।
এইচআর