অর্থ আত্মসাৎ করায় ডিএসসিসির কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) চেইনম্যান মো. আলীকে বরখাস্ত করেছে ডিএসসিসি। তাছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মিজানুর রহমানকে চাকুরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে দক্ষিণ সিটি। ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত দপ্তর আদেশে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, মো. আলীর (সাময়িক বরখাস্তকৃত) বিরুদ্ধে পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে মোবাইল কোর্টের জরিমানা আদায়ের কাজে ব্যবহৃত নিজ হেফাজতে থাকা ডিসিআর বইটি হারানোর কারণে গত ২০২১ সালে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়।

তার জবাব পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, ডিসিআর বইটি তার হেফাজতে থাকা অবস্থায় হারিয়ে গেছে। ডিসিআর বইটি হারানোর তারিখ থেকে প্রায় ৮ মাস পর থানায় জিডি করা হয়। জিডি করার কার্যক্রমটি তাকে কারণ দর্শানোর পরে গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ৫০টি মোবাইল কোর্টের জরিমানা আদায়ের জন্য ডিসিআর বইয়ের ৫০টি রশিদ ব্যবহার করা হয় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবহৃত রশিদের মাধ্যমে মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।

অন্যদিকে জরিমানার সর্বমোট ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করার প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পরে তিনি জমা দেন। তার এমন কার্যকলাপ ডিএসসিসি কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ (ক), (খ) ও (চ) মতে যথাক্রমে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও চুরি, আত্মসাৎ, তহবিল তছরুপ বা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত, যা এ বিধিমালার ৫০ বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মেয়র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৫০ (১) (খ) (উ) অনুযায়ী গুরুদণ্ড আরোপ করে চাকরি থেকে বরখাস্তকরণের আদেশ প্রদান করেন।

এইচআর