পণ্যসহ চোরাচালানে জড়িত ৯ ভারতীয় গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম

রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে চোরাই ও চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা নানা পণ্যসহ ১০জন ভারতীয়  ও ১ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

মশিউর রহমান জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা হলেন, রাজা শাও (৩৯), পঙ্খজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইটি (২৫),  সোনু বর্মন (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) এবং সমরজিৎ দাস (৩০)। এরা সবাই দেশটির পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা।  আর গ্রেপ্তার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নাম মো. মুরাদ গাজী (২৮)।

মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনোটাই বৈধ পথে আনা হয়নি।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোন ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামাল গুলো চোরাই পথে বাংলাদেশ আনে এবং বিক্রি করে থাকে। তারা স্বীকার করেছে আগে কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ-বিয়ার না এনে কোন শুল্কভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, সেক্স পিল জেল এনে তারা মজুদ করছিল।’

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ভারতে নিয়ে বিক্রি করত বলেও জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ভিনদেশি সামগ্রী চোরাই পথে বাংলাদেশে আনায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং পাসপোর্ট/ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের প্রবেশ করায় পাসপোর্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিআরইউ