ড. এস এম সালেহ উদ্দিন

মেট্রোরেল চতুর্মুখী না হওয়ায় কাজে আসছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

ঢাকা মেট্রোরেল চতুর্মুখী না হওয়ায় সবাই সুবিধা পাচ্ছে না। ফলে এটি কোন কাজে আসছে। বর্তমানে একমুখী মেট্রো হওয়ায় শুধু সেই রুটের যাত্রীরাই সেবা পাচ্ছে। সবগুলো মেট্রোরেল চালু হলেও মাত্র ১৭ শতাংশ যাত্রী বহন করতে পারবে। বাকি ৮৩ শতাংশ যাত্রী গণপরিবহনে চলতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হলে ঢাকার চিত্র পাল্টে যাবে। নদীগুলোকে সংস্কার করে নৌকা চলার উপযোগী করতে হবে। ফুটপাত যদি পরিষ্কার ও প্রসারিত করা হয়। তাহেল গণভোগান্তি কমবে। রাজধানীতে রাস্তা প্রসারিত না করে মানুষ চলাচলের জন্য ফুটপাত ঠিক করতে পারলে ভোগান্তি কমবে।

রোববার (১০ মার্চ) প্রেস ইনস্টিটিউন অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন এসব কথা বলা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার গণপরিবহন নিয়ে কোন পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য এমন লোকদের হতে দেয়া হয় যারা সঠিকভাবে কাজ করে না। ঢাকা ঘিরে যতই ট্রান্সপোর্ট চালু হোক গণপরিবহনের চাহিদা থাকবেই। কারণ মেট্রোরেল সবাইকে বহন করতে সক্ষম নয়। রাজধানীতে হঠাৎ করে খোড়াখুড়ি শুরু করে দেয়। এর ফলে যেমন তৈরি হয় পরিবেশের দূষণ তেমনি বাড়ে জনভোগান্তি।

এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভাগ হওয়ার পর থেকে কাজ করার প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। আমাদের কাজগুলো মানসম্মত হওয়ার প্রধান কারণ হলো সবার চাপ থাকা। ঢাকাতে আগের তুলনায় জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে। তবে সম্পূর্ণরূপে কমেছে সেটা বলা যাবে না। বৃষ্টির পানি নামার জন্য  খালগুলো আবর্জনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি সাঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না।

দীর্ঘ মেয়াদি কাজ হিসাবে ঢাকার সকল নদীগুলো পানি প্রবাহের সক্ষমতা রাড়ালে জলাবদ্ধতা কমে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কাজে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশীয় জিনিসপত্রের বেশি ব্যবহার করতে হয়। কারণ বিদেশি জিনিস সহজে পাওয়া যায় না। জলাবন্ধতা কমানো জন্য সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সকল খালগুলোকে উদ্ধার করা হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী খালের পানি পরিমাণ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত খালের অংশ হিসাবে বিবেচিত। আদি বুড়িগঙ্গার কাজ পুরোদমে চলছে। তাছাড়া সেখানে হাঁটার রাস্তা ও সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করা হচ্ছে। তার সৌন্দর্য অনেকটা হাতিরঝিলের মতো করা হবে। ওসমানী উদ্যানের সার্বিক বিষয়গুলো আগামী জুনের মধ্যে ঠিক করা হবে।

বিআরইউ