র‌্যাব

অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম

বান্দরবানের রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে মুক্তি দিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে জানিয়েছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির  আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়। বুধবার বেলা ১টার পর থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনার জন্যই কেএনএফকে দায়ী করছে সরকার।

‘রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ভালো আছেন’‘রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ভালো আছেন’
খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনার দিন দুই শতাধিক কেএনএফ সদস্য একযোগে হামলা চালায়। শান্তি আলোচনা চলাকালীন তারা কেন এমন বেপরোয়া হয়ে উঠলো তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা।

অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা ও লুট হয়ে যওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চলছে বলেও জানান র‍্যাব পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, টাকার প্রয়োজনেই তারা ব্যাংক ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

এর আগে দুপুরে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম জানান, অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভালো আছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার পর থেকে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

অন্যদিকে কেএনএফের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা বন্ধ ঘোষণা করেছে বান্দরবান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা বলেন, ‘পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত করতে ও কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আলোচনার মধ্যেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে কেএনএফের সদস্যরা। এর জেরে সকল ধরনের আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে আলোচনা।’

আরএস