অপসাংবাদিকতার চর্চা পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মফস্বলে সাংবাদিকতা একটু কঠিন। ঢাকায় অনেক ধরনের প্রোটেকশন পাওয়া যায়, এতে আমিও একমত। কঠিনটা যাতে সহজ করা হয় সেটারও পদক্ষেপ আমরা নেব। একই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়।
তিনি বলেন, এই অপসাংবাদিকতার চর্চা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। পেশাদার সাংবাদিকরা নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার। প্রতিটি সাংবাদিক ফোরাম ও সংগঠন যেগুলো আছে, তারা বলছেন- সাংবাদিকতায় ন্যূনতম একটা কোয়ালিফিকেশন থাকা দরকার। সব প্রফেশনে আছে, সাংবাদিকতায় থাকবে না কেন। তারাই এক ধরনের ডিসিপ্লিন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিকতায় নিয়ন্ত্রণ ও রেগুলেশনে আমরা বিশ্বাস করি না। সম্প্রতি আমি দেশে যতগুলো প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম রয়েছে তাদের অনলাইন পোর্টালের একটা তালিকা চেয়েছি। একই সঙ্গে আলাদাভাবে শুধু অনলাইন নিউজ পোর্টাল যেগুলো আছে, তাদেরও একটা তালিকা চেয়েছি। এর বাইরেও যেসব অনলাইন পোর্টালগুলো মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে, তারমধ্যে যেগুলো অনুমোদন পেয়েছে এবং যেগুলো বাকি রয়েছে, সবগুলোর তালিকা চেয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর বাইরে আরও অনেক অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়। যেগুলো থেকে অপসাংবাদিকতা করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। যার ফলে বদনামটা এসে পড়ে পেশাদার সাংবাদিকদের ওপরে। এসব বন্ধ করে দিতে হবে। আমি বলেছি, তালিকাগুলো আমার মন্ত্রণালয়ে পাঠালে আমি বিটিআরসিকে দিয়ে বাকি সব বন্ধ করে দেব।
আরএস