মাজলুম ফিলিস্তিনের পক্ষে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ মিছিল যোগ দেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। বাদ যাননি বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরাও।
ফ্রি প্যালেস্টাইন ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগানে মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ঢাবির ভিসি চত্বর, ফুলার রোড ও শহীদ মিনার ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা।
এসময় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সরকার ও সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে তাদের সাথে সংহতি জানাতে আমাদের আজকের এই প্রতিবাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ইতিহাস রয়েছে। সে সংগ্রাম মানবতা ও মুক্তির পক্ষে। তাই আমরা শুধু বাংলাদেশের জন্য আন্দোলন করি না। আমাদের সংগ্রাম সারা পৃথিবীর শোষিত মানুষের পক্ষে। আমরা সব সময় তাদের পক্ষে আন্দোলন করে যাবো।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ইজরায়েলকে ফিলিস্তিনে হামলার সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করেছে। সে আন্দোলন আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে সেসব শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের গণতন্ত্রের সবক দেয়। যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা গণতন্ত্রের টেন্ডার নিয়েছে সারা জীবনের জন্য আজ তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে তাদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক সংহতি পত্রও পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
ছাত্রলীগের আয়োজন এ সমাবেশে উপস্থাপনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, মূলত গত ১৭ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যুক্ত রাষ্ট্রের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবী ব্যাপী ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার তথ্যমতে গত নভেম্বর ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
আরএস