রাজধানীতে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমএ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম শাফিন। 

জানা গেছে, শনিবার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তরা ৭নং সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালটাপালটি দুটি মামলা হয়েছে বলে আমার সংবাদকে জানিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। মামলার নম্বর ১২ ও ১৩। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। যাদের রোববার আদালতে তোলা হলে দুই জনের জামিন নামঞ্জুর হয় বলে জানা গেছে। বাকিদের তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা গেছে, বিজিএমএ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিনকে সিগারেট খাওয়া নিয়ে মারধর করে ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন জয়ের ছোট ভাই অভি। মারধরের এক পর্যায়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে বলেও জানা গেছে। ওই ভিডিও ডিলিটের বিনিময়ে অভি শাফিনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে শাফিনের বন্ধুদের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভির সঙ্গে মীমাংসা করতে গেলে তাদের সবাইকেও মারধর করা হয়। ৭নং সেক্টর সুপার হোস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হামলার সময় ১নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়, রানা, এরশাদসহ বেশকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় হামলার একপর্যায়ে শাফিন ও তার বন্ধুদের ছুরিকাঘাত করে তারা। ছুরিকাঘাতে শাফিন ও তার বন্ধু তালহা গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, জয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তার ছোট ভাই অভিকে দিয়ে উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছে। ফুটপাতে চাঁদাবাজি, সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাঁদাবাজি, লেক ব্রীজের ফুটপাতের দোকানের চাঁদাও তোলে এই গ্যাং। উত্তরা হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনের ফুটপাতও একই গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে। শুধু তাই নয়, পুরাতন বিল্ডিং ক্রয়-বিক্রিতেও এদের চাঁদা দিতে হয় বলে বলছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে শাফিন ও তার বন্ধুদের ওপর হামলার ঘটনা ধামাচাপার দিতে এবং ঘটনাটি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ না নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দিয়েছিল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। যদিও ঘটনাস্থল থেকেই শাফিন ও তার বন্ধুদেরসহ জয়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় পালটাপালটি দুটি মামলা হলে আটক পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের আদালতে তোলা হলে জয় ও তার ছোট ভাই অভির জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে শাফিনসহ বাকিদের জামিন মঞ্জুর হয় বলে জানা গেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) হাসান মুন্সির কাছে জানতে চাইলে বলেন, নাইট ডিউটি করায় গতকাল তিনি থানায় যাননি। যে কারণে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমান আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরএস