হাটে গরু আছে, ক্রেতা কম

আবদুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম

রাজধানী ঢাকার অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট গাবতলী পশুর হাট। বৃহস্পতিবার এ হাটে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় ক্রেতাদের তেমন সমাগম নেই। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরু, মহিষ, ছাগলে পূর্ণ পুরোনো এ পশুর হাটটি। এছাড়া পাকিস্তানি উট ও দুম্বাও রয়েছে।

গাবতলী পশুর হাটের এবারের সবচেয়ে বড় গরুর নাম ‘বীর বাহাদুর’। গরুটি কুষ্টিয়া থেকে আনা হয়েছে। এই গরুর ওজন ১৮শ কেজি। দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। তবে ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে বলে জানান বিক্রেতা।

প্রতিদিন পনেরশ থেকে দুই হাজার টাকার খাবার লাগে এ গরুটির। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশিরভাগ বাছাই করা গরু আসে গাবতলীর পশুর হাটে। তবে এবার ছোট সাইজের গরুর কিছুটা চাহিদা আছে বলে জানান বিক্রেতা জামাল হেসেন।

সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো ব্যবসায় লাভ হয় না বলে জানান স্থানীয় খামারি টিপু বেপারি। ৩৫ বছর ধরে খামারে গরু লালন পালন করলেও এখন খরচের আলোকে ন্যায্য দাম পান না বলে জানান এ বিক্রেতা।

তিনি আমার সংবাদকে বলেন, মানুষ খামার থেকে গরু কিনলে আরও বেশি দামে কিনে। অথচ আমরা খামারে লালন পালন করি, বাজারে এনে বিক্রির জন্য দীর্ঘদিন রাখার ফলে অনেক খরচ হয়। ফলে বিক্রির পর তেমন লাভ থাকে না।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোনো রকম সহায়তা পান কিনা জানতে চাইলে এ খামারি ও বিক্রেতা জানান, সরকার যা বাজেট দেয়, তা তো সরকারি কর্মকর্তাদেরই পেট ভরে না। আমাদের সহযোগিতা করবে কীভাবে।

হাটে গরু কিনতে আসা তাসলিমা বেগম আমার সংবাদকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। দীর্ঘ সময় ঘুরছেন। কিন্তু পছন্দ আর বাজেটের আলোকে মেলাতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি কম হলেও শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু। ফলে কাল থেকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

উট ও দুম্বা বিক্রেতা আমজাদ হোসেন আমার সংবাদকে জানান, এবার দুটি পাকিস্তানি উট ও বেশ কয়েকটি দুম্বা এনেছেন বিক্রির জন্য। একটি উট ২২ লাখ টাকা, আরেকটি ২৬ লাখ দাম হাঁকিয়েছেন। তবে ক্রেতারা ১২ লাখ পর্যন্ত দাম বলেছেন। পর্যাপ্ত দাম পেলে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান তিনি। প্রতিটি দুম্বার দাম তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা হলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দুম্বার চাহিদা কিছুটা বেশি বলে জানান এ বিক্রেতা।

নোমান/ইএইচ