কারফিউ শিথিল না হওয়া পর্যন্ত ‘বন্ধ থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দুই দফা হামলা করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী ও বনানীর দুটি টোল প্লাজা। ভাঙচুর করা হয় মহাখালী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যালয়ও।

এ অবস্থায় কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেড।

বুধবার ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (এফডিইই) অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। কারফিউ পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফডিইই। এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চায় প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরও জানান, ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৮টায় শত শত লোক বনানী টোলঘরে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার জানান, এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফডিইইর সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষ শিগগিরই আলোচনায় বসবে। কবে নাগাদ এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়া হবে এবং বনানী টোলঘর ম্যানুয়ালি চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ইএইচ