ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা গা ঢাকা দেন, পালিয়েছেনও অনেকে। আবার দেশ ছাড়ার সময় গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের অনেককেই। এদের মধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলকও রয়েছেন।
রিমান্ডে গোয়েন্দাদের জেরার মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তারা। আনিসুল হককেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগ করার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সমাধানের দিকে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের নাম কেবল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট নয়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে চরমভাবে অপব্যবহারও করেছিলেন তারা।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকেও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হেফাজতে থাকা সালমান, আনিসুল, টুকু, পলকসহ পাঁচজনই তিন বেলা ডিবির সরবরাহ করা খাবার খাচ্ছেন। খাবার তালিকায় আছে- সকালে ডাল, রুটি, সবজি এবং দুপুরে ও রাতে ভাত, মাছ-মাংস, ডাল, সবজি। ডিবিতে তাদের রাখা হয়েছে সাধারণ অপরাধীদের মতো। এক্ষেত্রে তারা কোনো বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও কাপড়চোপড় বাইরে থেকে দেওয়া হয়েছে।
ইএইচ