আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ১১:৪৪ এএম

শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. বয়জার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেবার মান উন্নয়ন, জনগণের দোরগোড়ায় এই খাতের সেবা পৌঁছে দেওয়া, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখা এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বৈষম্যের শিকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্যাডার কর্মকর্তাদের পক্ষ হতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো-

১। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই।

২। মেধার ভিত্তিতে ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩। যে সমস্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট গ্রেডে ফিডার পদের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন, তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন যে সকল কর্মকর্তা ৩য় গ্রেড প্রাপ্তিতে এক বা একাধিকবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়েছেন/পাননি তাদের সকলকে প্রথম ব্যাচে পদোন্নতি প্রাপ্তদের সাথে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি কার্যকর করতে হবে।

৫। ভেটেরিনারি সার্ভিস কে ইমারজেন্সি সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করা।

৬। মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোতে নিজ অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।

৭। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নবম গ্রেডে নিয়োগের সময় বিশেষায়িত পেশা হিসেবে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল ক্যাডারের ন্যায় একটি অতিরিক্ত কারিগরি পে’র ব্যবস্থা করতে হবে।

৮। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তাদের উপর ন্যস্ত করতে হবে। (মোবাইল কোর্ট)

৯। অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সংযুক্ত এয়ারমার্কড বাসগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাতিল ঘোষণা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি সংযুক্ত বাসাগুলোর উপযোগিতা বিবেচনায় নিয়ে ডরমিটরি হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

১০। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন কর্মরত কর্মকর্তাদের গ্রেড-ভিত্তিক প্রাপ্যতা অনুসারে অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় মোবাইল ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

১১। অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে অতি দ্রুত মহাপরিচালককে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ক্যাডারে শৃঙ্খলা আনয়নে অতিদ্রুত অধিদপ্তরে কমপক্ষে ৬ টি গ্রেড-২ এর পদ সৃজন করত পদসমূহে পদায়ন করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জনবল কাঠামোর অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অতিদ্রুত কাস্তবায়ন করতে হবে।

১২। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবেলা, গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমানো এবং প্রাণিসম্পদ খাতের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণের  লক্ষ্যে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড সহ অন্যান্য বৈশ্বিক অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ ও একটি জলবায়ু সেল তৈরি করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ডা. মোহাম্মদ শাহাদত হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তারেক, উপপরিচালক প্রশাসন ডা. আব্দুল মান্নান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আহসান হাবীব ও সহযোগী অধ্যাপক, বিসিএস (শিক্ষা) মো. মফিজুর রহমান।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের পক্ষ হতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।

বিআরইউ