জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ক্যাডার অধিদপ্তর হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে নন-ক্যাডার ও প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে ক্যাডারভুক্তকরণ এবং জ্যেষ্ঠতা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, নন-ক্যাডার ব্যাচসমূহে কিছু প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার আত্মীয়ও আছেন যাদের প্রভাবে এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে আইন ও বিধির তোয়াক্কা না করে এইসকল নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এমনকি ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ক্যাডারভূক্তির পাঁচমাসের মধ্যে তাদেরকে ৫ম গ্রেডে পদোন্নতিও দেয়া হয়। উক্ত অনিয়মের বিষয়ে তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন ও যুগ্ম সচিব খায়রূল ইসলাম, অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাসিনা সরকারের অনেক মদদপুষ্ট কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পিএসসি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে বিসিএস নিয়োগ বিধি সংশোধন না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শুধু ক্যাডার পদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনকে পুঁজি করে উক্ত কর্মকর্তাদের রাজস্ব খাতে যোগদানের তারিখে ক্যাডারভুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ৯০ জন সহকারী প্রকৌশলীকে যোগদানের তারিখ থেকে অবৈধভাবে ক্যাডারভুক্ত করে ক্যাডার পদে স্থায়ী না করে এবং সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা ছাড়াই ৫ম গ্রেডের ক্যাডার পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। অথচ সকল ধাপ অতিক্রম করে যোগ্যতা অর্জন করে ২০২০ সালে ৫ম গ্রেডে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করে ৩১ ও ৩২ বিসিএসের ১০ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি বঞ্চিত হন।
৩১ তম ও ৩২ তম বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডারের ১০ জন সহকারী প্রকৌশলী ইতোমধ্যে ১১/১০ বছর সম্পন্ন করেও সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) এ কর্মরত থেকে চরম বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছেন। এমনকি ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতির জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিআরইউ