মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত আরও দুই পুলিশ শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার লোমহর্ষক একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।

১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলকারীদের গুলি করে হত্যার পর মরদেহ ভ্যানে স্তূপাকারে রাখছেন মাথায় হেলমেট ও ভেস্ট পরা কিছু পুলিশ সদস্য। মরদেহগুলো রাস্তার পাশে থাকা পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন তারা। এরপর সেই মরদেহের স্তূপে আগুনও ধরিয়ে দেন তারা।

গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় সমালোচনা।

গতকালই এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফী আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে। এবার সেই ভিডিওটিতে থাকা আরও দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় মিলেছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে মরদেহ স্তূপ করে রাখা ভ্যানটির পাশ দিয়ে চিন্তিত মুখে পায়চারি করতে দেখা গেছে পুলিশের ওই দুই সদস্যকে। তারা হলেন, আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ রায় ও কনস্টেবল মুকুল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ রায় ও কনস্টেবল মুকুলের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় লোকজন।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে একাধিক পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও চারজন পুলিশ সদস্যকে স্পষ্ট দেখা যায়। তারা হলেন-ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের (তদন্ত) কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ রায় ও কনস্টেবল মুকুল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিওতে ভ্যানের পাশ দিয়ে হেঁটে হেলমেট হাতে ও পুলিশের ভেস্ট পড়া ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। আরাফাতের পাশেই সবুজ রঙের একটি গেঞ্জি পরে ছিলেন ডিবির কনস্টেবল রেজাউল। এ সময় ওই ভিডিওতে থাকা আরও দুইজনের মধ্যে একজনকে দেখা যায় লাল হেলমেট হাতে পুলিশের ভেস্ট পরা আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ রায় এবং মাথায় হেলমেট ও পুলিশের ভেস্ট পরা কনস্টেবল মুকুলকে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে আশুলিয়া থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শক ওই দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, আমরা ঘটনাটি দেখেছি। চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ইএইচ