দ্রুত সময়ে আর্থিক অনুদান পাওয়ায় দৈনিক আমার সংবাদ এর কাছে শহীদ জিসানের পিতার কৃতজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জেরে ‍‍`জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন‍‍` থেকে

দ্রুত সময়ে আর্থিক অনুদান পাওয়ায় দৈনিক আমার সংবাদ এর কাছে শহীদ আব্দুর রহমান  জিসানের পিতা বাবুল সরদার  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল (১ অক্টোবর) তিনি  মোবাইলের মাধ্যমে  এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর  দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার অনলাইন পাতায় ‍‍`টাকার অভাবে প্রবাসে ফিরতে পারছেন না আন্দোলনে নিহত ছেলের লাশ দেখতে আসা বাবুল‍‍` শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়।

নিউজ এর সূত্র ধরে  কোটার সংস্কার আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়করা শহীদ আব্দুর রহমান জিসানের পিতা বাবুল সরদারের সাথে যোগাযোগ করেন।

প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে  দ্রুত সময়ের মধ্যে  আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য লিখিত অনুরোধ করেন তারা।

তারপর  ‍‍`জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন‍‍` এর সাধারণ সম্পাদক শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)   শহীদ জিসানের বাবা বাবুল সরদার কে তাদের বাসায় গিয়ে   ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে  পাঁচ লাখ আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করেন।

[293055]

ছাত্র -জনতার  আন্দোলন ঠেকাতে গত ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার।পরদিন কারফিউ ভেঙ্গে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মিছিল করতে গেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুলিতে  আহত হন আব্দুর রহমান  জিসান।গুরুতর আহত জিসান কে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেই দিন রাতেই তাকে মৃত্যু ঘোষণা  করেন ডাক্তার। পরদিন ২১ জুলাই রাতে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

শেষবারের মতো ছেলের চেহারা দেখার জন্য ২২ শে জুলাই বিকেলে  দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে  দেশে  ফিরেন  বাবুল সরদার।

ছেলের মৃত্যুর  এক সপ্তাহ পরে ছেলের স্ত্রী শোকে আত্মহত্যা  (সুইসাইড) করেন। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় কারণে মানসিক এবং আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হন বাবুল সরদার।

গত ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত  প্রবাসীদের একটি মিটিং হয়।সেই মিটিং এ সবার সামনে নিজের সন্তান  শহীদ হওয়ার পর নিজের প্রবাসে ফেরা নিয়ে  অসহায়ত্ব তুলে ধরেন তিনি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‍‍`টাকার অভাবে প্রবাসে ফিরতে পারছেন না আন্দোলনে নিহত ছেলের লাশ দেখতে আসা বাবুল‍‍` শিরোনামে একটি নিউজ করেন ‍‍`দৈনিক আমার সংবাদ‍‍` পত্রিকার সাংবাদিক  এবং কোটার সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক  জালাল আহমদ।নিউজটি  প্রকাশিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে  নিউজটি পাঠিয়ে দিলে তারা যথাযথ পদক্ষেপ  গ্রহণ করে। 

আরএস