গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠি

এবার বাংলা একাডেমিতে করতে হবে বইমেলা

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫–এর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পাচ্ছে না বাংলা একাডেমি। এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

তাতে বলা হয়েছে, বিগত ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজন করতে হবে। ৬ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৩ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে আগামী বইমেলার আয়োজন কোথায় হবে, তা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এক দশক ধরে অমর একুশে বইমেলা বাংলা একাডেমির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে। মেলার বেশির ভাগ স্টলের বরাদ্দও হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে বইমেলা আয়োজিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে। তবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন হবে কি না, তা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে। বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছিল কয়েক বছর ধরে।

এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা করা যাবে না, এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, একাডেমির চত্বরের ভেতরে মেলার আয়োজন করার কথা। তবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা করতে চাই।’

বাংলা একাডেমিকে ৬ নভেম্বর পাঠানো চিঠিটি গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৩–এর উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির আপিলের আবেদন পাননি।

১৯৭২ সালে ভাষার মাসে বাংলা একাডেমির চত্বরে চাটাই বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন মুক্তধারা প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নাম দিয়ে ধারাবাহিকভাবে মেলা পরিচালনা করছে। ২০২১ সাল থেকে মেলার প্রাতিষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় অমর একুশে বইমেলা।

আরএস