রেডিও ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে বিশ্ব বেতার দিবস ২০২৫ পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর সহায়তায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেক্টর লিড নূরে জান্নাত প্রমা। ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান ড. সুজান ভাইজ ভিডিও বার্তায় বলেন, “রেডিও সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর সর্বাধিক বিস্তৃত এবং কার্যকর মাধ্যম।
রেডিওর জন্য ইন্টারনেট, ব্যয়বহুল ডিভাইস বা এমনকি সাক্ষরতার প্রয়োজন নেই। এ কারণেই রেডিও এত কার্যকর। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে পারি।”
দিবসের প্রতিপাদ্যের ওপর উপস্থাপনা করেন সমষ্টির গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হক। এরপর সাংবাদিক, কমিউনিটি রেডিওকর্মীসহ অন্যরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কমিউনিটি রেডিওগুলো তাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জরুরি ইস্যুগুলো নীতিনির্ধারকদের নজরে আনতে এবং জলবায়ু ন্যায্যতার বিষয়ে জনপরিসরে আলোচনা তৈরিতে মতামত গঠন ও নীতি প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ তৈরিতে কমিউনিটি রেডিওগুলো প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলায় কমিউনিটি রেডিও জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য প্রচার, দুর্যোগ প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে জলবায়ু অভিযোজন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
নূরে জান্নাত প্রমা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার বিষয়গুলো কমিউনিটি রেডিওতে আরো জোরালো ভাবে উপস্থাপিত হলে তাদেরকে সমতার অবস্থানে আনার পথ সুগম হবে।’
ওয়েবিনারে কমিউনিটি রেডিও কর্মী, মিডিয়া পেশাজীবী, প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী, জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ইএইচ