বরিশালে বসবে ৭০টি পশুর হাট

আরিফ হোসেন, বরিশাল প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম
  • শহরে থাকছে ২টি স্থায়ীসহ অস্থায়ী প্রায় ১০টি হাট
  • পশুর হাটে থাকছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা 
  • থাকছে জাল নোট সনাক্তকরন মেশিন 

আর মাত্র কয়দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৯ /১০ জুলাই ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হবে দেশ জুড়ে। এ লক্ষ্যে প্রতিবারের মত এবারও বরিশালে বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে এরই মধ্যে হাটগুলোর অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। সে হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার ১০টি উপজেলায় এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পশুর হাট বসবে প্রায় ৭০ টি। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৫৯ টি হাট অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে। আর বরিশাল সিটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন না দিলেও ২টি স্থায়ীসহ ৮/১০ টি পশুর হাট অনুমোদন দিতে পারে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইতিপূর্বে বাৎসরিক চুক্তিতে দুটি স্থায়ী হাটের ইজারা দেয়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি নগরীর কাশিপুর বাঘিয়া গরুর হাট এবং অপরটি পোর্ট রোডের কশাইখানা গরুর হাট। এ দুটির পাশাপাশি ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই অস্থায়ী কয়েকটি হাটের অনুমোদন দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচে, বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কের কালিজিরা ব্রিজের নিচে একটি, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সিএন্ডবি রোডস্থ থানা কাউন্সিলের সামনে একটি এবং নগরীর কাউনিয়া টেক্সটাইল এলাকায়। 

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, আমরা এখনো হাটের বিষয়টি চূড়ান্ত করিনি। তবে প্রতিবছর নগরীতে যে কয়টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয় এবারও সেরকমই হবে। তবে কর্পোরেশনের হাটবাজার শাখা জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় হাটের চাহিদা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে হাট দু একটি বাড়তেও পারে। 

অপরদিকে, বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদরসহ জেলার ১০টি উপজেলায় এবার মোট ৫৯ টি পশুর হাট বসবে। যার মধ্যে অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা ৩৫ টি। বাকি ২৫টি বাৎসরিক চুক্তিতে ইজারা দেয়া স্থায়ী পশুর হাট। 

বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, হাট ইজারা নেবার জন্য যে আবেদন গুলো আসছে সেগুলো আমরা স্ব স্ব উপজেলার ইউএনওদের কাছে মতামতের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারা পক্ষে মতামত দিলেই আমরা হাটের অনুমোদন দিয়ে দেই। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো দেওয়া হয়ে গেছে। তবে জেলার ১০ উপজেলায় সর্বমোট ৫৯ টি হাটের অনুমোন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার পরপরই ইজারাদার হাট চালু করতে পারবেন যা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সচল রাখতে পারবে। 

গরুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাব বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, পশুর হাটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। প্রতিটি হাটে পুলিশের ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এছাড়া জাল নোট প্রতিরোধ করতে প্রতিটি হাটে জাল নোট সনাক্তকরন মেশিনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন আগামী ৩০ তারিখ এ বিষয়ে সমন্বয় সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম বলেন, এবার বরিশাল জেলায় ১ লক্ষাধিক পশু কোরবানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বরিশাল জেলার খামারিদের কাছে রয়েছে। এর বাইরে গৃহস্থলী এবং অন্য জেলা থেকে আসা পশু অতিরিক্ত যোগান হিসাবে থাকবে।

কেএস