চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ৫টি পয়েন্টে বাইপাস নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিদিনের দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা আসবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৩২ কিলোমিটারে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাইপাস নির্মাণে জাপানের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। এরমধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। ডিপিপি পাস হওয়ার পর প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম থেকে জানা যায়, জাপানের বিশেষ অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাইপাস করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো হলো-পটিয়া বাইপাসকে আরো চওড়া (৬ লাইনে) উন্নিত করা, দোহাজারী বাজার বাইপাস, কেরানীহাটে ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদে বাইপাস নির্মাণ ও চকরিয়া বাইপাস নির্মাণ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৫টি পয়েন্টে ৩২ কিলোমিটারে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প জাপানের সাথে আমাদের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পয়েন্টে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণে যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। ডিটেইল ডিজাইনের পর ডিপিপি পাস হওয়ার পর টেন্ডার হবে। আগামী মাসে জাপানি প্রতিনিধিদের সাথে আরও কিছু অংশ নিয়ে আবার বৈঠকে বসে আলোচনা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৫টি বাইপাস ৬ লাইনের করতে চায় জাপান। আমরা তাদেরকে ৪ লাইন করতে বলেছি। এই ৫টি বাইপাসের বাইরেও বাকি অংশটুকু তাদেরকে করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। মোট তহবিলের মধ্যে জাপান ঢাকা ম্যাস র্যাপিট ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লেন ৫, নর্থান রুট) এর দ্বিতীয় পর্ব এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১১, ৪০০ কোটি টাকা দেবে। নির্মাণের জন্য ঋণের সুদ হবে ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শ সেবার জন্য ০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ১০ বছরের রেয়াতকালসহ এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর।
কেএস