নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গাজারিয়াপাড়া এলাকায় মোসাঃ জুনু আক্তার (২২) নামের এক কন্যা সন্তানের জননীকে যৌতুকের দাবিতে গলাটিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে এলাকায় চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত মোসাঃ জুনু আক্তার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই সোলেয়মান জানান, আমার ছোট বোন মোসাঃ জুনু আক্তারকে প্রায় ৪ বছর আগে পাশ্ববর্তী সাদিপুর ইউনিয়নের গাজারিয়াপাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবিরের কাছে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক বিবাহ দেই। বিবাহর সময় নগদ ৫ লাখ টাকা, ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে দিয়ে দেয়া হয়। ঘাতক স্বামী মাদকাসক্ত ও বেকার হওয়ায় গৃহবধূ মোসাঃ জুনু আক্তারকে তার পিত্রালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য প্রায় মারপিট করতো।
আজ শনিবার ভোর রাতে স্বামী কবিরের সঙ্গে মোসাঃ জুনু আক্তারের ঝগড়া হয়। এ ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী জুনু আক্তারকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলাফুলা জখম করে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘরের ভেতরে নিহতের লাশ ফেলে ২বছরের শিশু রোজ মনিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়।
এদিকে পাশের বাড়ির লোকজন ঘটনার আলামত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সোনারগাঁও তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. জাকির রব্বানীর নেতৃত্বে নিহত গৃহবধূ মোসাঃ জুনু আক্তারের লাশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় নিহতের শরীরের পিঠে ও বিভিন্ন স্থানে লীলাফুলা জখনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কেএস