গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম ও তার আত্মীয় পরিজনসহ ঘনিষ্ঠ সহচরদের দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধানসহ তাদের সকলের সম্পদের হিসাব চেয়ে সঠিক অনুসন্ধান ও তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বুধবার (৬ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়- দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ অসংখ্য পরিবারকে সর্বশান্ত করে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সাবেক এই আওয়ামী লীগ নামধারী আজীবন বহিষ্কৃত নেতার অজানা উত্থানপতনের তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে তুলে ধরাসহ প্রশাসনের দৃষ্টিতে অনুসন্ধানের স্বার্থে আলোকপাত করছি।
জানা গেছে, দুদক ইতোমধ্যে একাধিক টিম দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারসহ তাদের সাথে সম্পৃক্ত ও আত্মীয়-স্বজনদের আয়ের উৎস এবং সম্পদের হিসাব খুঁজতে কাজ শুরু করেছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা/কর্মচারী ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানী রির্পোটসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো ফাইলে পাওয়া সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠে এসেছে।
উল্লেখিত তথ্যবহুল ঘটনা এবং দুর্নীতি আর অবৈধ কর্মকাণ্ডের মূলহোতা জাহাঙ্গীর আলম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে; তার জন্য সে ও তার পরিবারসহ সহযোগী-দোসরদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ তাদের সকলের সম্পদের হিসাব নিয়ে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু এ বিষয়ে জানান, জাহাঙ্গীরের হাত অনেক লম্বা। হাইকমান্ডের আশীর্বাদ তার প্রতি আছে, অচিরেই দেখতে পাবেন। জাহাঙ্গীর আবার মেয়রের চেয়ারে বসবে এবং তার হাত দিয়েই গাজীপুর সিটির চার হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
কেএস