সিরাজদিখানে ফসলি জমির মাটি বিক্রি 

সিরাজদীখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২, ০৪:৫৪ পিএম

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে জমি পতিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের ফসলি জমি থেকে দীর্ঘদিন ধরে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করছেন আব্দুল মান্নান নামে এক মাটি ব্যবসায়ী। এতে তিনি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে যেমন ফসলি জমি হারাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

তাই এলাকাবাসীর বলছেন, এভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করা জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে ফসল ফলাতে কৃষি জমি আর থাকবে না। তাই এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখান থানার উত্তর দিকে ইছামতি নদীর 
পাশে ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি তুলে ট্রলারে তোলা হচ্ছে। সেই মাটি ইছামতি নদী ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ টির মতো ট্রলার মাটি উত্তোলন করা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে আব্দুল মান্নান নামের মাটি ব্যবসায়ী। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। এভাবে মাটি বিক্রি করতে থাকলে একসময় ফসলি জমি গুলো আর থাকবে না। সেগুলো হারিয়ে যাবে, এ বিষয়ে উপজেলা ইউএনও স্যারে বরাবরএকটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, আমি ১৫-২০ দিন ধরে এই মাটি কাটতাছি। ২-১ দিন পর আমার মাটি কাটা বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি আমার সাথে দেখা করেন,আর নিউজ কইরেন না। আর আমার দিকে খেয়াল রাইখেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, এবিষয়ে আগে কেউ আমাকে জানায়নি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আজ লোক পাঠিয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস