সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় জনসাধারণের চলাচলের সরকারি রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর ও গৃহ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে খাষকাউলিয়া কুরকী গ্রামের মজির, মুবারক, তারা মিয়া ও আম ব্যবসায়ী মুকুল সিকদার সহ বেশকিছু জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। নির্মিত ঘরগুলো অপসারণের দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে উপজেলার খাষকাউলিয়া ও খাষপুকুরিয়া দুই ইউনিয়নের কুরকীর পশ্চিম পাড়া গ্রামে গিয়ে কাচা রাস্তাটির উপর দোকানঘর/গৃহ নির্মাণের সত্যতা পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকী কলেজ পাড়ার মুবারক হোসেন, কদ্দুস সিকদার, মজিবর ও আম ব্যবসায়ী মুকুল হোসেনসহ বেশকিছু জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা দোকানঘর/গৃহ নির্মাণ করেন। দোকানঘর নির্মাণের সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও কর্ণপাত করেননি তারা এবং কি সরকারিভাবে নোটিশও না। দোকানঘর নির্মাণের ফলে জনসাধারণসহ যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার আলোচনা হলেও বসলেও সরকারি রাস্তা ছেড়ে দেয়নি দোকান মালিকগণ।
জোতপাড়া গ্রামের ছালাম মোল্যা বলেন, কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে রাস্তাটির সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি আবেদন করলে চেয়ারম্যানসহ দুই পক্ষের সার্ভেয়ার এসে সীমানা নির্মাণ করে। পাঁচ/সাত দিনের মধ্যে সরকারি রাস্তা থেকে দোকানঘর/গৃহ অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিল কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও দোকান এখনো সরাননি। যার ফলে চলাচল করতে এলাকার মানুষদের অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কাচা সড়কটি পাঁকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রাক্কলন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
অভিযোগকারীরা বলেন, রাস্তা থেকে দোকান ঘর না সরানোর তালবাহনা করছে দোকান মালিকগন। এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। আমাদের রাস্তার প্রয়োজন। আমরা রাস্তা চাই।
সরকারি রাস্তায় দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, সম্পূর্ণ দোকান ঘরটি রাস্তার নয়। পাশে আমার জমি আছে। এক প্রশ্নে তারা উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি রাস্তা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের কোনো সুযোগ নাই।
আরও জানা গেছে, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। দোকান ঘরগুলো সরকারি রাস্তায় পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএস