নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে অর্ধউলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘর থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা ও গোয়াল ঘর থেকে ১গরু, ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
গত সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও ভয়ে ভুক্তভোগী দরিদ্র পরিবারটি বাড়ি থেকে বের হয়ে মামলা করতে পারেনি। বর্তমানে পরিবারটি আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। ভয়ে মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতে পারছে না।
অভিযুক্তরা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির (৩২) একই ওয়ার্ডের অজি উল্যাহ দপ্তরী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে ওমর ফারুক (৩২) সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০) ও আজু মিয়ার বাড়ির নজির বেপারীর ছেলে আলতাফ (২৫)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার ২৬জুলাই রাত ১১টার দিকে তিনি তার পরিবারের সকল সদস্যসহ সবাই ঘরে ছিলেন। ওই সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন চরএলাহী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের তানভির, ফারুক, রাজন, আলতাফ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমার বসত ঘরের দরজায় লাথি মারতে থাকে। তাৎক্ষণিক আমি দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে প্রবেশ করে আমার স্বামী কামাল কে বেধড়ক মারধর করে পকেট থেকে নগদ ৫হাজার টাকা, আমার বিছানার নিচ থেকে ৩হাজার হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর পুনরায় আমার স্বামী কামাল কে মারধর করে হামলাকারীরা ২লক্ষ টাকা দাবি করে। শেষে ২লক্ষ টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে আনুমানিক ৭০হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে এবং আমার স্বামীকে অর্ধউলক্ষ করে ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে আমার দুই মেয়ে কে তারা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা এখনো তাদেরকে চোখে চোখে রেখেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির বলেন, ওই নারী সেখানে দুইজন স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছে। তবে তিনি ভিডিও ধারণ, টাকা, মোবাইল এবং গরু লুটের সঙ্গে জড়িত নেই বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কেএস