উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির সাথে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও এনায়েতপুরের জালালপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (৩ আগস্ট) সকাল ৬ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৬ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা- ১৩.৩৫ মিটার)। একই সাথে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা- ১৫.২৫ মিটার)।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের শুরু থেকে প্রথম দফায় যমুনা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ জুন জেলার সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনার পানি। পরে ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ২৯ জুন থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর ৩ জুলাই থেকে শুরু করে টানা সপ্তাহ যমুনার পানি কমতে থাকে। ২৩ জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় বাড়তে শুরু করে যমুনার পানি। ৩০ ও ৩১ জুলাই পানি কমার পর ৩১ জুলাই রবিবার বিকেল থেকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতে অতি বৃষ্টির কারনে পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজপয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তরা। একারণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যার কোনো আশংকা নেই। বৃষ্টি কমলেই পানি কমতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।
কেএস