উদ্বোধনের ৭ বছরেই খসে পড়ছে সেতুর রেলিং

আবু হানিফ রানা, মুন্সীগঞ্জ প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ০৫:৫২ পিএম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাঁদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের রহিমগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে নবনির্মিত সেতুর রেলিং খসে পড়ছে। তাছাড়া সেতুর দু-পাশের সংযোগ সড়ক ঠিকমত না থাকায় সেতুটি তেমন উপকারে আসছেনা স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিঘীরপার এফআরবি- বিয়ানিয়া বাজার (রহিমগঞ্জ) সংযোগ সড়কের উপর নির্মান করা হয়েছে ৭৫ মিটার দীর্ঘ বিশাল আকৃতির একটি সেতু। সেতুর প্রস্থ প্রায় ২০ফিট। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থাণীয় এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর টঙ্গীবাড়ির বাস্তবায়নে নির্মিত হয় সেতুটি। কিন্তু উদ্বোধনের ৭ বছর না পেরুতেই সেতুর দুপাশের রেলিংয়ে লম্বা লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু  স্থানে রেলিংয়ে অংশ খসে পড়ে লোহার রড বাহির হয়ে রয়েছে। সেতুর মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। উদ্বোধনের মাত্র ৭ বছরের মাধ্য সেতুটি বেহাল হয়ে পরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ৭ বছর আগে সেতুটি উদ্বোধন করা হলেও সেতুর দু-পাশের এপ্রোচ সড়ক ঠিকভাবে নির্মিত হয় নাই। সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায়, যান চলাচল করতে পরতে হয় বিরম্বনায়। সেতুর দক্ষিণ পাশের প্রায় ১০০ ফিট দূরেই মাটির কাঁচা রাস্তায় বৃস্টিতে পানি জমে কাঁদার স্তুপ জমে রয়েছে। এই কাঁদা দিয়েই উঠতে হয় মূল সেতুতে।

স্থাণীয়রা জানান, সেতুর গোড়ায় কাঁচা রাস্তা। তাছাড়া দু-পাশের গোড়ায় স্বাভাবিক মাটি নেই। এ জন্য সেতুতে বড় কোন গাড়ি উঠতে পারে না। কিছু রিক্সা অটো গাড়ি এ সেতু দিয়ে যাতায়ত করলেও সেতুর গোড়া দিয়ে উঠার সময় যাত্রী নামীয়ে, গাড়িগুলোকে সেতুতে উঠতে হয়। এ জন্য সারাদিনে এ সেতু দিয়ে ১০০ গাড়িও চলাচল করে না বলে জানালেন তারা। খুব কস্ট করে সেতুর গোড়া দিয়ে গাড়ি উঠাতে গিয়ে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা।

স্থানীয় কাজল দেওয়ান বলেন, সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে মাত্র ৭ বছর। এর মধ্যেই সেতুর মধ্যে অনেক গর্ত হয়ে গেছে। রেলিং স্থানে স্থানে ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। কোনরকম ইট পাথর দিয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার অনেক টাকা খরচ করে বিশাল সেতু বানাইছে কিন্তু অল্প টাকা ব্যায়ে করে দু-পাশের রাস্তা বানাতে পারছে না। যার কারণে এ সেতু আমাদের কোন উপকারেই আসছে না।

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, সেতুটি প্রায় ১০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। তখন আমি এখানে ছিলাম না। সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে সর্ব প্রথম অবহিত হলাম। আমি আমার টিম পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।

কেএস