পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. নুরে আলম নিহতের প্রতিবাদে ভোলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
গত রোববার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছিলেন নুরে আলম। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নুরে আলমকে নিয়ে দুজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নুরে আলম হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা বিএনপি হরতালের ডাক দেয়। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জেলা কার্যালয়ে হাজির হয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নুরে আলম বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত রোববার ভোলায় সংঘর্ষের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। ওই দিন প্রথমে তাঁকে ভোলা ও বরিশালে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নুরে আলম রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা বিএনপি। মিছিলে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে গুলিতে আবদুর রহিম মাতব্বর নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেএস