গেলো শক্রবার রাত থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।এর ফলে চট্টগ্রামে সকাল থেকে দেখা দিয়েছে তীব্র গণপরিবহন সংকট। হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধে পথে পথে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, রাস্তায় রিকশা-সিএনজির দাপট। বর্ধিত দামের সঙ্গে ভাড়া সমন্বয় করার দাবিতে ভোর থেকেই নগরীতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ।
গার্মেন্টস,কারখানা ও অফিস খোলা থাকায় পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। এই সুযোগে রাইড শেয়ারিং, রিকশা ও সিএনজি চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। ফলে যাত্রী-চালকদের মধ্যেও চলছে বাক-বিতণ্ড।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে নগরীর সকল সড়কজুড়ে দেখা গেছে, পরিবহন সংকটে মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ফলে সিএনজি রিকশার চাহিদাও বেড়ে গেছে। অফিসগামী যাত্রীরা কেউ সিএনজি যোগে, কেঊ রিকশা যোগে আবার কেউ ভ্যান যোগে যাতায়াত করছে। অধিকাংশ মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্য স্থলে যাতায়াত করছে। সিএনজি দেখলাম তারা ১০০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা, রিকশায় ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা চাইছে। সুযোগে যে যেভাবে পারছে ভাড়া চাইছে, বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।
গ্যাসের দাম তো বাড়েনি তবুও বাড়তি ভাড়া কেন নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিএনজি চালক বলেন, যাত্রীর পরিমাণ বাইড়া গেছে। আমরা বাড়তি টেকা চাইতাছি না। যাত্রীরাই বাড়তি টেকা দিয়াই যাইতাছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, রাতের অন্ধকারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। পেট্রোল পাম্পগুলো আমাদের তেল দেয়নি। বাড়তি দামে তেল ঢুকিয়ে গাড়ি চালালে আমাদের এক টাকাও লাভ হবে না। শ্রমিকরা কিভাবে বাঁচবে ? তাই আমরা আজ ভোর ৬টা থেকে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্ধিত ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় না করা পর্যন্ত আমাদের কোন গাড়ি রাস্তায় চলাচল করবে না। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়েছে সরকার।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ। লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ পেট্রোল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার প্রায় ৫২ শতাংশ।শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে নতুন এই মূল্য কার্যকর করা হয়েছে।