রাজধানী তুরাগের খামারপাড়া এলাকায় একটি রিকশার গ্যারেজ ও ভাঙারি দোকানে কেমিক্যাল বিস্ফোরিত হয়ে গ্যারেজ মালিকসহ ৭/৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে স্হানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) তুরাগের রাজাবাড়ি (খামারপাড়া) এলাকায় গাজী মাজহারুল ইসলামের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, গ্যারেজ মালিক মো. গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৮), আলম মিয়া (২৩), মো. মাসুম মিয়া (৩৫), মো. মিজান (৩৫), মো. শরিফুল ইসলাম (৩২), মো. নূর হোসেন (৬০), মো. আল-আমিন (২৯) ও মো. শাহীন (৩০)। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো, বাচচু মিয়া ৭/৮ জন দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তুরাগ এলাকা থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ৭/৮ জন এসেছে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশংন্কা জনক। আহতদের শরীরের ৯৫ থেকে ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
শফিকুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম নামে দু’ব্যক্তি জানান, কামারপাড়া এলাকায় একই ছাউনির নিচে ব্যাটারীচালিত রিকশার গ্যারেজ ও ভাঙারির দোকান। ওই ভাঙারির দোকানে সেন্টের বোতল রয়েছে। সেই ভাঙারির দোকানে পরিত্যক্ত পারফিউম এর কিছু বোতল কোনো কারণে আগুনের স্পর্শ এসে বিস্ফোরিত হয়। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে রিকশার গ্যারেজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে ওই রিকশার গ্যারেজে থাকা মালিকসহ সাতজন গুরুতর আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ জানান, তুরাগের রাজাবাড়ি - কামারপাড়া এলাকায় একটি ভাঙারির দোকানে আজ দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে সেখানে উত্তরা থেকে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে এবং ৩টা ১৫ মিনিটের সময় আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে ওই রিকসার গ্যারেজ ও ভাঙারি দোকানের প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল ক্ষয়ক্ষরিত হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
তুরাগ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, মেহেদী হাসান জানান, ওই ভাঙারি দোকানে অগ্নিকাণ্ডে ও বিস্ফারণে বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছি বলে জানতে পেরেছি। সবাইকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুনে বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।
কেএস