কিশোরগঞ্জে ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, মনগড়া বেতন কাঠামো তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ সহ সুনির্দিষ্ট ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
[228942] কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বাবু এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাবু জানান, নিয়োগ কমিটি গঠন ছাড়াই করোনাকালীন কলেজে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
[227488] শুধু তাই নয়, নন এমপিওভুক্ত ৫০জন শিক্ষকের ইনক্রিমেন্ট কর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে কলেজের তৃতীয় শ্রেণির দুজন কর্মচারীকে ৯ মাস ধরে এমফিল/পিএইচডি ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বিধি বহির্ভূতভাবে কলেজের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বেতন। যোগদানের পর থেকে অধ্যক্ষ ব্যাংকের দ্বৈত সাধারণ হিসাব পরিচালনা করছেন। যাতে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রশ্নবিদ্ধ বলেও অভিযোগ করা হয়।
[229155] এছাড়া অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা না নিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকে এফডিআর হিসাবে রাখা ৬৫ লাখ টাকা উত্তোলন, গুরুতর আরেকটি অভিযোগ হলো পে-স্কেল-২০১৫ লঙ্ঘন করে মনগড়া বেতন কাঠামো তৈরি করে বাড়তি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষ কলেজে যোগদানের ছয় মাস পর এমপিওভুক্ত হলেও এমপিওর সরকারি ও কলেজ প্রদত্ত টাকা ছয় মাস আগে থেকেই নিয়েছেন। অপরদিকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে শিক্ষক-কর্মচারীদের কলেজ ফান্ডের চার মাসের বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।
[229024] তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আল-আমিন। অবৈধ নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্থায়ী কোনো নিয়োগ আমি দেইনি।
মাস্টার্স চালু করার জন্য খণ্ডকালীন চারজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মনগড়া বেতন কাঠামোর বিষয়ে তিনি জানান, বাজেট কমিটি আছে। তারা বাজেট তৈরি করে গভর্নিং বডিতে (জিবি) উপস্থাপন করলে জিবি সেটা অনুমোদন করেছে।
সেটাতে আমার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। দুজন কর্মচারীকে এমফিল/ পিএইচডি ভাতা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটা এমফিল নয়, প্রবৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট।
[228839] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে আহ্বায়ক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমারসংবাদ/এআই